আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৭ বছর পরে বাংলাদেশে ফিরেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ফোন করলেন দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনূসকে। ফোনে তারেক ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে বিএনপি সূত্রে।
বৃহস্পতিবার সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে তারেক প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। বিএনপি মিডিয়া সেলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, তারেক টেলিফোনে প্রধান উপদেষ্টার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিচ্ছেন। তাঁদের কথোপকথনের সময় তারেক তাঁর নিরাপত্তা এবং দেশে ফেরার আয়োজনগুলির সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমি আমার এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে, আমার নিরাপত্তার জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলোর জন্য আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।”
তারেকের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই জোরদার করা হয়েছে। ঢাকাকে লাল, হলুদ ও সাদা অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। লাল ও হলুদ অঞ্চলে প্রবেশ বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বিমানবন্দর, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, বাসস্থান এবং তাঁর কার্যালয়কে ঘিরে প্রায় ২,০০০ ইউনিফর্মধারী ও সাদা পোশাকের পুলিশ এবং নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে, পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে। গুলশান, বনানী এবং বারিধারার বিভিন্ন স্থানে একাধিক চেকপয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। তারেকের বাসভবনগুলিতে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে এবং তার চলাচলের পথগুলিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
১৭ বছরের নির্বাসন শেষে তারেক রহমান স্বদেশে ফিরেছেন। লন্ডন থেকে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সিলেট হয়ে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বৃহস্পতিবার তাঁকে ঢাকায় স্বাগত জানাতে হাজারো সমর্থকের ঢল নেমে এসেছিল রাস্তায়। লন্ডন থেকে স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জেইমা রহমানকে নিয়ে দেশে পা রাখেন তারেক। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে বিএনপি সমর্থক ও দলীয় নেতারা বনানী এয়ারপোর্ট রোড থেকে পায়ে হেঁটে ঢাকা বিমানবন্দরের দিকে মিছিল করেন। দ্য ডেইলি স্টারের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিবারের পোষা বিড়াল জিবুও তাঁদের সঙ্গে দেশে ফিরেছে। তারেকের সঙ্গে তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী আবদুর রহমান সানি ও কামাল উদ্দিনও ছিলেন।
