আজকাল ওয়েবডেস্ক: অবশেষে মহাকাশ থেকে ফিরতে চলেছেন সুনীতা উইলিয়ামস। আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলেছে এই মিশন। শেষপর্যন্ত মার্চে শেষ হবে এই মিশন। 


নাসার নভোচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর মহাকাশ থেকে সিএনএন-এর সঙ্গে একান্ত কথোপকথনে জানিয়েছেন, ক্রু-১০ মিশনটি গত ১২ মার্চ পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করবে এবং সেখান থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) আসবে।

 

সম্প্রতি এ বিষয়ে মহাকাশ স্টেশন থেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাসার দুই অভিজ্ঞ মহাকাশচারী জানিয়েছেন, মিশন স্পেসক্রাফ্টে চড়ে পৃথিবী থেকে মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছবেন এক নভোচর। এরপর দুই মহাকাশচারী তাদের কাজ হস্তান্তর করবেন এবং একজন নতুন মহাকাশ স্টেশন কমান্ডার দায়িত্ব নেবেন। বর্তমানে, সুনীতা উইলিয়ামস রয়েছেন দায়িত্বে। 

 

এক সপ্তাহ ধরে চলবে হস্তান্তর পর্ব। তারপর দুই মহাকাশচারী ড্রাগন মহাকাশযানে চড়বেন যা ক্রু-১০ কে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য মহাকাশে গিয়েছিল। দুই অভিজ্ঞ নভোচারীকে নিয়ে ড্রাগন মহাকাশযানটি ১৯ মার্চ পৃথিবীপৃষ্ঠে অবতরণ করবে।


গত মাসে স্পেসএক্সের সিইও  ইলন মাস্কের কাছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি উইলমোর এবং উইলিয়ামসকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করেন। তাদের মিশনের সমাপ্তির জন্য তিনি অনুরোধ জানান। যার সিদ্ধান্ত মূলত গত বছরই নেওয়া হয়েছিল।


ট্রাম্পের আবেদনের পর, নাসা মহাকাশচারীদের দেশে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা নিশ্চিত করে ফেলা হয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই কাজ সম্পূর্ণ করার কথা বলা হয়েছিল। স্টারলাইনার ক্রুদের তাড়াতাড়ি দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ক্রু-১০ ক্যাপসুল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


স্পেসএক্স নাসার বাণিজ্যিক ক্রু প্রোগ্রাম থেকে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের তহবিল নিয়ে ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল তৈরি করেছে। যার লক্ষ্য, বেসরকারি বাজারকে উদ্দীপ্ত করা এবং কম খরচে মহাকাশযান তৈরির বিষয়ে কোম্পানিদের আশ্বস্ত করা।