আজকাল ওয়েবডেস্ক: আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পোপ ফ্রান্সিস, যতদিন পোপ ছিলেন, টানা ১২ বছর কোনওদিন নিজের ‘হোমল্যান্ড’ আর্জেন্টিনায় যাননি একবারের জন্যও। যদিও গতবছর তিনি আর্জেন্টিনা যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন বাওলে খবর সূত্রের। তবে তাতে রাজনীতি-সহ একাধিক বিষয়ে প্রভাব পড়তে পারে, চিন্তা করে আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি। কিন্তু এই দীর্ঘ সময় বিশ্বের নানা দেশে গেলেও, নিজের দেশে না যাওয়ার পিছনে কারণ কী? কেন এক দশকের বেশি সময়ে একবারও গেলেন না নিজের ঘরে?
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, যখনই তাঁকে নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হত, তিনি বলতেন, ৭৬ বছর কাটিয়েছি সেখানে, সেটাই যথেষ্ট নয়? তিনি একাধিকবার এও বলেছেন, তিনি চান না রাজনীতিবিদরা তাঁর সফরকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করুক।
অনেকেই বলেন, পোপ ফ্রান্সিস কখনও চাননি তাঁর দেশের কোনও রাষ্ট্রপতি এক সময়ে বলুন, ‘আমি সেই ব্যক্তি, যিনি পোপ ফ্রান্সিসকে দেশে নিয়ে এসেছিলাম।‘ ২০১৭ সালে একবার গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, চিলি সফরকালে তিনি আর্জেন্টিনায় যাবেন, যদিও সময়ের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, আর্জেন্টিনার আর্চ বিশপ থাকা কালীন, দেশের সঙ্গে তাঁর বিরোধ বাঁধে একবার। ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ ডি কির্চনারের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ নিয়ে চর্চা হয়েছিল বিস্তর।পোপ ফ্রান্সিস মরিসিও ম্যাক্রির নীতিরও বিরোধী ছিলেন।
 
 পোপ ফ্রান্সিসের বর্তমান রাষ্ট্রপতি জাভিয়ের মিলেয়ের সঙ্গেও সম্পর্ক খুব একটা ভাল ছিল না। দায়িত্ব নেওয়ার আগে, তিনি প্রায়শই পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করতেন বলে খবর সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে। দীর্ঘদিন রোগভোগের পর, ২১ এপ্রিল, ৮৮ বছর বয়সে প্রয়াত হন পোপ ফ্রান্সিস। 
