আজকাল ওয়েবডেস্ক: চিনকে সকলে পাকিস্তানের বড় ভাই বলেই জানে। আর বড় ভাইয়ের চাহিদা মেটাতে গিয়ে এবার নাজেহাল অবস্থা পাকিস্তানের। শক্তিশালীকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের দেশের সর্বনাশ করছে পাকিস্তান। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাকিস্তানের গরিবরা।
পাকিস্তান থেকে গাধার দল পাঠানো হচ্ছে চিনে। চিনের ওষুধ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যেই পাকিস্তান থেকে গাধার দলকে চাইছে চিন। এই কাজটি নীরবে করে চলেছে পাকিস্তান। এরফলে পাকিস্তানের গরিবের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।
বিগত ৫ বছর ধরে পাকিস্তানে গাধার সংখ্যা বাড়ছে দ্রুত গতিতে। ২০১৯-২০ সালে এই সংখ্যা ৫.৫ মিলিয়ন থেকে বেড়ে হয়েছে ৬ মিলিয়ন। এখানে তারা খানিকটা হলেও স্বস্তিতে ছিল। তবে চিনের আবদার মেটাতে গিয়ে এবার নাজেহাল হয়েছে পাকিস্তান।
চিন এই গাধাগুলিতে নিয়ে তাদের নানা ধরণের প্রাচীন ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগিয়েছে। পাশাপাশি নানা ধরণের গবেষণার কাজে লাগানো হচ্ছে এই গাধাগুলিকে। চিনে এখন গাধার সংখ্যা নিচের দিকে। তাই তারা পাকিস্তানকে চাপ দিয়ে এই চাহিদা পূরণ করছে।
পাকিস্তানের কাছে গাধার দল তাদের জীবনের মতো। যাদের আয় কম তারা গাধার ওপরেই নির্ভর করে থাকেন। ফলে পাকিস্তানের গবিররা আরও বেশি করে গরিব হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে গাধাগুলিকে কিনতে চিন খুব বেশি অর্থ বরাদ্দ করছে না। এটাও পাকিস্তানের কাছে আরও বড় বিপত্তি।
পাকিস্তানের গাধা কিনতে চিন এতটাই মরিয়া হয়েছে যে তারা সেখানকার অসুস্থ গাধাগুলিকেও কিনে নিয়ে চলে যাচ্ছে। সেখানে তারা প্রতিটি গাধার দাম ৪০ হাজার টাকা করে রেখেছে। গাধাদের নিয়ে চিনের গবেষণার খেসারত দিতে হচ্ছে পাকিস্তানকে।
পাকিস্তানের কাছ থেকে এই গাধাগুলিকে কিনে নিয়ে চিন তাদেরকে হত্যা করে নানা ধরণের রান্নার পদ তৈরি করছে। সেগুলি চিনের বিভিন্ন খাবারের বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। সেখানেও পাকিস্তান কিছুই বলতে পারছে না।
