আজকাল ওয়েবডেস্ক: দ্বিতীয় দফার বৈঠক। সেই বৈঠক থেকেও কোনও সদর্থক বার্তা উঠে আসেনি। বৈঠক শেষের আগেই, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বড় সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, এই দফার আলোচনা ব্যর্থ হলে, 'ওপেন ওয়ার' শুরু হবে। বৈঠক থেকে সদর্থক বার্তা উঠে আসেনি। চার দিন ধরে আলোচনার পর এই সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান-আফগানিস্তান শান্তি আলোচনা ভেস্তে গিয়েছে। আর তার জন্য, পাকিস্তান ভারতের দিকে দোষ ঠেলার চেষ্টাও করে গিয়েছে। তবে, তার  মাঝেই উঠে এসেছে বড় সত্যি। 

কী সেই তথ্য? 

তথ্য, নেপথ্যে রয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের এক গোপন চুক্তি। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ উদ্ভট অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, পাকিস্তানে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নয়াদিল্লির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে কাবুল। 


জিও নিউজের প্রাইমটাইম অনুষ্ঠান ‘আজ শাহজেব খানজাদা কে সাথ’-এ এই মন্তব্য করেছেন তিনি। অনুষ্ঠানে তিনি শান্তি চুক্তি থেকে বারবার পিছিয়ে আসার জন্য আফগান আলোচকদের নিন্দা করেছেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদন অনুসারে আসিফের অভিযোগ, “গত চার দিনে অথবা গত সপ্তাহে যখনই আমরা কোনও চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছি, আলোচকরা সেই বিষয়ে কাবুলে রিপোর্ট করার পরেই, সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করা হয়েছিল এবং চুক্তিটি প্রত্যাহার করা হয়েছিল।” তাঁর দাবি, “আলোচনা ভেস্তে দেওয়ার প্রচেষ্টা করা হয়েছে।” কিন্তু একাধিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে উঠে আসছে একেবারে অন্ন্য তথ্য। কী সেই তথ্য? জানা যাচ্ছে, ভারতের কারণে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার যে গুজব ছরানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান, তা আদতে নিজেদের কার্যকলাপ ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই।  একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আফগান আলোচকরা আফগান আকাশসীমা লঙ্ঘন বন্ধ করার এবং আফগান ভূখণ্ডের উপর দিয়ে বিদেশী ড্রোনের উড়ান বন্ধ করার জন্য পাকিস্তানের কাছ থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি দাবি করেছিলেন। বিনিময়ে, কাবুল তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-সহ পাকিস্তান বিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি সীমান্ত পেরিয়ে কার্যকলাপ বন্ধ করবে, সেই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে।  

আরও পড়ুন: ওয়ার্ক পারমিট আর অটোমেটিক রিনিউ হবে না, ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে কতটা সমস্যায় পড়বেন

সূত্রের খবর, বৈঠকে পাকিস্তানের প্রতিনিধিদল দাবি করে, অপর এক তৃতীয় দেশ, অর্থাৎ বিদেশী শক্তি, তাদের ভূখণ্ড থেকে ড্রোন পরিচালনা করছে। ঠিক তার পরের মুহূর্তেই কাবুল ওই আলোচনা ভেঙে দেয়। একাধিক স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, প্রথমবারের মতো, পাকিস্তান ওই আলোচনার সময় স্বীকার করে যে, ড্রোন হামলার অনুমতি দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের একটি চুক্তি রয়েছে এবং দাবি করেছে যে তারা সেই চুক্তি ভঙ্গ করতে পারবে না। তেমনটাই তথ্য, আফগান সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। 

আরও পড়ুন: অসমে রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়াও অপরাধ? কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়কালে, পাকিস্তান আমেরিকার সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করেছে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান আসিম মুনির হোয়াইট হাউসে গিয়ে আলচনায় বসেছেন। এদিকে, ট্রাম্প তালিবানদের বাগরাম বিমানঘাঁটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এই শর্ত না মানলে, যা ঘটতে চলেছে, তা ভাল হবে না।