আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের আগ্রাসী পাকিস্তান। সোমবার একাধিক সর্বভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, খাইবার পাখতুনখোয়া গ্রামে হামলা চালিয়েছে পাক বিমান বাহিনী। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য, অন্তত আটটি বোমা ফেলেছে পাক বাহিনী। তাতে প্রাণ গিয়েছে অন্তত ৩০জনের।
তথ্য, সোমবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর বিমান হামলায় নারী ও শিশু-সহ কমপক্ষে ৩০জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সকলেই বেসামরিক নাগরিক বলে তথ্য। জানা গিয়েছে, হামলা এবং বোমা বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে রাতের অন্ধকারে। ২২ সেপ্টেম্বর রাত ২টোর দিকে পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান তিরাহ উপত্যকার মাতরে দারা গ্রামে আটটি এলএস-৬ বোমা ফেলেছে বলে তথ্য।
আরও পড়ুন: গুজরাট বিমান দুর্ঘটনায় চালকের ভুলকে দায়ী করার প্রবণতাকে “দুর্ভাগ্যজনক” বলে আখ্যা দিল সুপ্রিম কোর্ট
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, হামলায় আহত হয়েছেন আরও বহু বাসিন্দা। তাঁদের সকলের খোঁজ এখনও মেলেনি। জানা যায়নি মোট আহতের সংখ্যাও। ইতিমধ্যে বেশকিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ঘটনার। যদিও সেগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন।
তবে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, ওই ভিডিওগুলি পাক হামলার। যেখানে দেখা গিয়েছে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও দেহ উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
খাইবার পাখতুনখোয়ায় অতীতে অনেক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান হয়েছে, যেখানে ওই একই অঞ্চল থেকে বহু বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (PICSS) নামে একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বেড়েছে। যা আগের মাসের তুলনায় ৪২ শতাংশ বেশি।
তথ্য, দেশব্যাপী কমপক্ষে ৭৪টি সন্ত্রাসী হামলা রেকর্ড করা হয়েছে, যার ফলে ৯০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তালিকায় খাইবার পাখতুনখোয়ার পরেই রয়েছে বালুচিস্তান।
আরও পড়ুন: এবার চ্যাটজিপিটির সাহায্যেই জিতে নিতে পারেন ১ কোটি টাকার লটারি! নেট দুনিয়ায় হইচই ...
খাইবার পাখতুনখোয়া পুলিশ এই হামলা প্রসঙ্গে জানিয়েছে, এই বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে প্রদেশে ৬০৫টি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে, যেখানে কমপক্ষে ১৩৮ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ৭৯ জন পাকিস্তানি পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। শুধুমাত্র আগস্ট মাসেই ১২৯টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে, যার মধ্যে ছ' জন পাকিস্তানি সেনা এবং আধাসামরিক ফেডারেল কনস্টেবল সদস্য নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, তথ্য, পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) জুড়ে ভারত অপারেশন সিঁদুরে ন' টি প্রধান সন্ত্রাসী আস্তানা লক্ষ্য করে ধ্বংস করে। তার পরেই জৈশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) এবং হিজবুল মুজাহিদিন (এইচএম)-এর মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলি আফগান সীমান্তের কাছে খাইবার পাখতুনখোয়ার গভীরে নতুন ঘাঁটি স্থাপন করছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সংযুক্ত এই প্রদেশের পাহাড়ি ভূখণ্ড প্রাকৃতিক আস্তানার পরিপন্থী।
