আজকাল ওয়েবডেস্ক: আত্মমর্যাদার ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও ভালো করতে চায় বাংলাদেশের জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজকাল-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব লুৎফুর রহমান বলেন, আত্মমর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে বন্ধুত্ব গড়লেই সেটা চিরস্থায়ী হয়। তাঁর সাফ কথা, ভারত বাংলাদেশের প্রতিবেশী। প্রতিবেশী বদল করার সম্ভব নয়। তাই বন্ধুত্ব চান তাঁরাও।

অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামি লিগের বিদায়ের পর বর্তমানে বাংলাদেশে শান্তিতে নোবলেজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার চলছে। সেই সরকারের অন্যতম চালিকা শক্তি এনসিপি। লুৎফুর জানান, রাষ্ট্র সংস্কারের পরই তাঁরা নির্বাচন চান। কারণ বাংলাদেশের মানুষ সেটাই চাইছে।


গত বছর ৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পতন ঘটেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের। তখনকার অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক, বর্তমানে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব লুৎফুর জানান, তাঁরা মোটেই ভারত বিদ্বেষী নন। তবে দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা সবার আগে। ভারতের জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

 দু' দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপের কারণ উল্লেখ করেই তিনি জানান, জুলাই-আগস্টে সংগঠিত গণহত্যার বিচার চাইছেন বাংলাদেশের মানুষ। তাঁরাও সেই সময় নিহত ও আহতদের পরিবারের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাই ফ্যাসিবাদি শক্তির বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনও নির্বাচন তাঁরা চান না। বাংলাদেশের মাটিতে আর কখনও যাতে ফ্যাসিবাদী শক্তি মাথা তুলতে না পারে সেটাও নিশ্চিত করতেই তাঁরা রাষ্ট্র সংস্কারে গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

লুৎফুর আরও জানান, তাঁরা সংখ্যালঘু বিদ্বেষী নন। তাঁদের দলেও বহু হিন্দু সদস্য রয়েছেন। এমনকী, জুলাই অভ্যুত্থানেও হিন্দুরা সক্রিয় অংশ নিয়েছেন। তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাইছেন এনসিপি কর্মীরাও। তাঁর মতে, বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনায় আওয়ামি লিগের নেতাকর্মীরা আক্রান্ত হলেও ধর্মীয় কারণে কোথাও হামলা হয়নি। বরং আওয়ামি লিগের শাসনামলের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশে হিন্দুরা ভালো আছেন বলেও দাবি করেন তিনি।