আজকাল ওয়েবডেস্ক: নাসার বিজ্ঞানীরা সর্বদাই পরীক্ষা করে চলেছেন নানা ধরণের ব্যাকটেরিয়া নিয়ে। এই জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া থেকে কখনও মানুষের ভাল কাজ করা যায় অন্যদিকে সেখান থেকে ক্ষতির সম্ভাবনাও থাকে।
সম্প্রতি নাসার নজরে একটি বিশেষ ধরণের ব্যাকটেরিয়া ধরা পড়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে এদের দুটি করে দেহাংশ রয়েছে। এর মানে হল এরা অতি দ্রুত নিজের দেহকে দুটি ভাগে ভাগ করতে পারে। আবার যে দুটি ভাগে তারা ভেঙে গেল সেখান থেকেও ফের দুটি ভাগ হতে বেশি সময় লাগবে না।
এই ব্যাকটেরিয়ার নাম মাল্টিসেলুলার ম্যাগনেটোটাটিক ব্যাকটেরিয়া। এরা সদ্য পৃথিবীতে এসেছে। তবে দ্রুত এরা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেই মনে করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা. পৃথিবীর মহাকর্ষ শক্তি থেকে এরা বেশিদিন নিজেদের সরিয়ে রাখতে পারবে না। এরা পৃথিবীতে অতি সহজেই নেমে আসবে। তখন সেখান থেকে এরা বিভিন্ন প্রাণীর দেহে বাসা করবে।
বায়োলজির ভাষায় বলা যায় এই ধরণের ব্যাকটেরিয়াকে বেঁচে থাকার জন্য কারও সহায়তা লাগে না। এরা যেকোনও প্রাণীর দেহে প্রবেশ করলেই সেখান থেকে এরা প্রতিটি সময় থেকে নিজের দেহকে দ্বিগুণভাবে ভাঙতে শুরু করবে। ঠিক যেমন রক্তবীজের মতো। ফলে সেই সময় যদি এদেরকে কায়দা না করা যায় তাহলে দ্রুত এরা সেই প্রাণীর দেহে বাসা করে নেবে। এমনকি তার মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। অন্য ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে এদের প্রধান পার্থক্য হল এরা দ্রুত নিজেদের ভাঙতে পারে। দেহের প্রতিটি কোষ এদের টার্গেট। ফলে এরা যেখানে খুশি সেখানে থাকতে পারে।
পরীক্ষাগারে এই ব্যাকটেরিয়া নিয়ে তাই খানিকটা চিন্তায় পড়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। মানুষের দেহে যদি এই ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে তাহলে খানিকের মধ্যেই এরা দেহের প্রতিটি অংশে ছড়িয়ে যাবে। সেই কাজে এদেরকে সহায়তা করবে রক্ত এবং হার্ট। দেহের প্রতিটি চর্বিতে এরা পালা করে আক্রমণ করবে। সেই ব্যক্তির তখন মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
