আজকাল ওয়েবডেস্ক: 'প্রিয় জলের গানের বাড়িটি আর নেই...'
হামলার খবর আগেই পাওয়া গিয়েছিল। এবার 'জলের গান' ব্যান্ড জানাল, সঙ্গীতশিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়িটি আর নেই। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেটি। স্ত্রী ও ১৩ বছরের সন্তানকে নিয়ে এক কাপড়ে ঘরছাড়া রাহুল আনন্দ।
'জলের গান'-এর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি ঘিরে ছিল বহু স্মৃতি। রাহুলের বাসভবনে বসে রেকর্ড করা শেষ গানটিও দলের তরফে পোস্ট করা হয়েছে। জানিয়েছে, বাংলাদেশের উত্তাল সময়েও তাঁরা একাত্ম ছিলেন গানে গানে। এখন বাসভবনটি পুড়ে ছাই, নেই একটিও বাদ্যযন্ত্র। বাসভবনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে সবটাই পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। কোনও মতেই প্রাণে বেঁচেছেন রাহুল আনন্দ ও তাঁর পরিবার। দলের সকল বাদ্যযন্ত্র, গানের নথিপত্র এবং অফিশিয়াল ডকুমেন্টস ছাড়াও, সঙ্গীতশিল্পীর ঘরের খাট-পালং, আলনা আর যাবতীয় সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন থেকে পড়ুয়াদের আন্দোলনে শুরু থেকেই সক্রিয়ভাবে পাশে ছিলেন রাহুল আনন্দ। অথচ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাঁর বাড়িতেই হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। সোমবার রাতেই জানা গিয়েছিল হামলার কথা। মঙ্গলবার 'জলের গান' ব্যান্ডের তরফেও ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে।
বাংলাদেশের এই অরাজকতা, হত্যালীলার মাঝেই 'জলের গান'-এর বক্তব্য, 'এই বাদ্যযন্ত্র, গান বা সাজানো সংসার হয়তো আমরা দীর্ঘ সময় নিয়ে আবার গড়ে নিতে পারবো। কিন্তু, এই ক্রোধ আর প্রতিহিংসার আগুনকে নেভাবো কিভাবে! কেন আমরা ভালবাসা আর প্রেম দিয়ে সবকিছু জয় করে নিতে পারি না? যেই স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখি, সেই স্বাধীনতার রক্ষায় যদি একইভাবে এগিয়ে আসতে ব্যর্থ হই, তাহলে চরম নিরাশা, অপমান ও লজ্জায় নিজেদের গানই গেয়ে উঠি এক ভগ্ন হৃদয়ে-
"কোন্ ছোবলে স্বপ্ন আমার হলো সাদা কালো?
আমার বসত অন্ধকারে; তোরা থাকিস ভালো!"
সকল প্রাণ ভালো থাকুক। নতুন আগামীর স্বপ্নকে আমরাও অভিবাদন জানাই একইভাবে। কিন্তু, নিজের উল্লাসের চিৎকার এবং সজোর হাততালিতে কারো স্বপ্ন ভেঙে না দেই!'
হামলার খবর আগেই পাওয়া গিয়েছিল। এবার 'জলের গান' ব্যান্ড জানাল, সঙ্গীতশিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়িটি আর নেই। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেটি। স্ত্রী ও ১৩ বছরের সন্তানকে নিয়ে এক কাপড়ে ঘরছাড়া রাহুল আনন্দ।
'জলের গান'-এর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি ঘিরে ছিল বহু স্মৃতি। রাহুলের বাসভবনে বসে রেকর্ড করা শেষ গানটিও দলের তরফে পোস্ট করা হয়েছে। জানিয়েছে, বাংলাদেশের উত্তাল সময়েও তাঁরা একাত্ম ছিলেন গানে গানে। এখন বাসভবনটি পুড়ে ছাই, নেই একটিও বাদ্যযন্ত্র। বাসভবনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে সবটাই পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। কোনও মতেই প্রাণে বেঁচেছেন রাহুল আনন্দ ও তাঁর পরিবার। দলের সকল বাদ্যযন্ত্র, গানের নথিপত্র এবং অফিশিয়াল ডকুমেন্টস ছাড়াও, সঙ্গীতশিল্পীর ঘরের খাট-পালং, আলনা আর যাবতীয় সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন থেকে পড়ুয়াদের আন্দোলনে শুরু থেকেই সক্রিয়ভাবে পাশে ছিলেন রাহুল আনন্দ। অথচ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাঁর বাড়িতেই হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। সোমবার রাতেই জানা গিয়েছিল হামলার কথা। মঙ্গলবার 'জলের গান' ব্যান্ডের তরফেও ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে।
বাংলাদেশের এই অরাজকতা, হত্যালীলার মাঝেই 'জলের গান'-এর বক্তব্য, 'এই বাদ্যযন্ত্র, গান বা সাজানো সংসার হয়তো আমরা দীর্ঘ সময় নিয়ে আবার গড়ে নিতে পারবো। কিন্তু, এই ক্রোধ আর প্রতিহিংসার আগুনকে নেভাবো কিভাবে! কেন আমরা ভালবাসা আর প্রেম দিয়ে সবকিছু জয় করে নিতে পারি না? যেই স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখি, সেই স্বাধীনতার রক্ষায় যদি একইভাবে এগিয়ে আসতে ব্যর্থ হই, তাহলে চরম নিরাশা, অপমান ও লজ্জায় নিজেদের গানই গেয়ে উঠি এক ভগ্ন হৃদয়ে-
"কোন্ ছোবলে স্বপ্ন আমার হলো সাদা কালো?
আমার বসত অন্ধকারে; তোরা থাকিস ভালো!"
সকল প্রাণ ভালো থাকুক। নতুন আগামীর স্বপ্নকে আমরাও অভিবাদন জানাই একইভাবে। কিন্তু, নিজের উল্লাসের চিৎকার এবং সজোর হাততালিতে কারো স্বপ্ন ভেঙে না দেই!'
