আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৫ সালে যেন চাকরি ছাঁটাইয়ের বহর চলছে। বিশ্বের প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের কর্মী ছাঁটাই করতে কোনও দ্বিধাবোধ করছেন না। ফলে হাজার হাজার মানুষ কাজ হারাচ্ছেন। তবে এবার প্রশ্ন উঠছে কেন এত মানুষের কাজ ছিনিয়ে নিচ্ছেন এই প্রতিষ্ঠানগুলি।
প্রতিষ্ঠানগুলির আয়ে ঘাটতি, বিশ্বের বাজার, এআই-য়ের বিরাট ব্যবহার কাজের বাজারকে অনেকটা খারাপ করে দিয়েছে। চলতি বছরে এর জেরে ইতিমধ্যেই ৬১ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। মোট ১৩০ টি প্রতিষ্ঠান এই সংখ্যায় কর্মীদের ছাঁটাই করেছেন।
সবথেকে বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে মাইক্রোসফট। তারা ৬ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এটা অনেকটাই বেশি। ২ হাজার মানুষ কাজ হারিয়েছেন শুধুমাত্র ওয়াশিংটনেই। এই ছাঁটাই আগামীদিনে আরও গতি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
পিছিয়ে নেন গুগলও। তারাও বিগত দুমাসে প্রায় ২০০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। এরা সকলেই গুগলের বিজ্ঞাপন বিভাগে এবং সেলস দলে কাজ করেন। পিক্সল, অ্যানড্রয়েড, ক্রোম, ক্লাউড থেকেই প্রচুর মানুষ কাজ হারিয়েছেন।
সম্প্রতি অ্যামাজনও তাদের বেশ কয়েকটি বিভাগে কর্মী ছাঁটাই করেছে। যেভাবে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে এআই নিজের জায়গা করে নিয়েছে তাতে এই পরিস্থিতি চলতেই থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে যেভাবে প্রতিষ্ঠানগুলির লাভের টাকা কমছে তাতে তারা এবার কর্মী কমানোর দিকেই মন দিয়েছে। তাই বিশ্বের কাজের বাজারে এখন বিরাট মন্দা দেখা দিয়েছে।
এআই-এর অগ্রগতি বিশেষ করে মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষদের প্রভাবিত করবে। বৃহৎ পরিসরে কর্মসংস্থানের হারাতে পারেন তাঁরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য যাঁরা কাজ করে চলেছেন তাঁরা একটি নতুন যুগের সূচনার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। যেখানে অর্থনীতির জন্য প্রয়োজনীয় কাজের একটি বিশাল অংশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হবে।
স্বাস্থ্যসেবা, গবেষণা, বিচারব্যবাস্থা, শিক্ষা, ব্যবসা এবং আর্থিক পরিষেবা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের কর্মক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে প্রচুর মানুষ কাজ হারাতে পারেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ক্ষেত্রে কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রদর্শন করতে হবে। সংবেদনশীল ভাবে এআই-কে পরিচালনা করতে হবে। তা না হলে দেশের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে যাঁরা কর্মহীন হবেন তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে সরকারকে। যা শেষ পর্যন্ত দেশের বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
আরও সতর্ক করা হয়েছে যে ভারতের যে সকল তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) কর্মীরা কম মূল্য সংযোজনকারী পরিষেবার সঙ্গে নিযুক্ত তাঁরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারেন।
