আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্ব আবহাওয়ার বড় ইঙ্গিত। ২০২৫ সালের আবহাওয়ার ক্ষেত্রে আসতে চলেছে বিরাট রদবদল। লা নিনার প্রভাবের কারণে বিজ্ঞানীরা আশা করেছিলেন, ২০২৫ সালে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম হবে। কিন্তু সেই পূর্বাভাস সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করেছে রেকর্ড তাপ।
ইউরোপের জলবায়ু পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের প্রতিবেদনে আবহাওয়ার তাপমাত্রা সম্পর্কে চমকপ্রদ দাবি করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন যে এই গড় তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প যুগের (১৮৫০-১৯০০) তুলনায় আরও ১.৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।
ঐতিহাসিক তথ্যের দিকে তাকালে দেখা যাবে, এল নিনোর প্রভাব শেষ হওয়ার পরেও জানুয়ারিতে তাপমাত্রার রেকর্ড বৃদ্ধি এই প্রথম। নতুন তথ্যের পর, বিজ্ঞানীরা অন্যান্য আর কোন কোন কারণগুলি তাপকে এই ভাবে সর্বোচ্চ স্তরে ঠেলে দিতে পারে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন।
বার্কলে আর্থ জলবায়ু বিজ্ঞানী জ্যাক হাউসফাদারের মতে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি অপ্রত্যাশিতভাবে সবচেয়ে উষ্ণতম জানুয়ারি হবে, যা ২০২৪ সালের পূর্ববর্তী রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যাবে। বিশ্ব বর্তমানে এল নিনো থেকে সরে গিয়ে শীতল লা নিনা আবহাওয়ার দিকে ধাবিত হচ্ছে। তারপরও বিশ্ব উষ্ণায়ন দেখা যাচ্ছে সর্বদিকে।
এল নিনো বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে, আর লা নিনা তা কিছুটা হ্রাস করে। তবে এবারের পরিস্থিতি ব্যতিক্রম। এল নিনোর প্রভাব কমে এলেও আমরা এখনও রেকর্ড পরিমাণ উষ্ণতা দেখছি, যা অবাক করার মতো।
কোপার্নিকাসের জলবায়ু বিজ্ঞানী জুলিয়ান নিকোলাস বলেন, "জানুয়ারিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই বিষয়টি নিঃসন্দেহে অবাক করার মতো। এল নিনোর প্রভাব শেষ হওয়ার পরেও, আমরা বৈশ্বিক তাপমাত্রার উপর যে প্রভাব বা অন্তত সাময়িক বিরতি আশা করেছিলাম তা দেখতে পাচ্ছি না।"
চলতি বছরের গরম অন্যবারের তুলনায় অনেক বেশি হবে সেকথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সেদিক থেকে দেখতে হলে গরম নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। নাহলে হঠাৎ করে গরম থেকে হওয়া নানা ধরণের রোগের শিকার হতে পারেন।
