আজকাল ওয়েবডেস্ক: জেন জি-রা অন্তবর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে যাঁদের নাম পছন্দ করছেন একে একে, ক্রমে স্পষ্ট হচ্ছে তাঁদের ভারত যোগ। বালেন্দ্র, সুশীলার পর কুলমনও। কেন জেন জি-দের বর্তমান পছন্দ কুলমনের যাতায়াত ছিল ভারতে? সত্যিটা এল সামনে।

কুলমন ঘিসিং, ভারতের জামশেদপুরের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি নেপালের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলচকের ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পাওয়ার সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন বলে জানা গিয়েছে। 

এছাড়াও কুলমন প্রসঙ্গে আরও কিছু তথ্য এক নজরে-

কুলমন ঘিসিং নিজে একজন একজন বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী। নেপালে তাঁর বিপুল খ্যাতির কারণ, তিনি সে দেশে চলতে থাকা দীর্ঘকালীন বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করেছিলেন।

ঘিসিং ১৯৯৪ সালে নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ (এনইএ)-তে তাঁর পেশাগত কর্মজীবন শুরু করেন, ধীরে ধীরে পদমর্যাদার উন্নতি হয়। ২০১৬ সালে, ঘিসিংকে এনইএ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিযুক্ত করা হয়। ওই পদে থাকাকালীন তিনি, দেশের ১৮ ঘন্টা দৈনিক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দূর করে নেপালের ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। ২০২০-সালে তাঁর জায়গায় অন্য একজনকে আনা হলেও, ২০২১ সালে পুরনো পদে ফেরানো হয় ঘিসিং-কে।

তথ্য, কেপি ওলি সরকারের সঙ্গে মতবিরোধ হয়েছিল তাঁর। তাঁর মেয়াদ শেষের মাত্র কয়েকমাস আগে কেপি শর্মা ওলি সরকার ২৪শে মার্চ, ২০২৫ তারিখে কুলমন ঘিসিংকে এনইএ-এর নির্বাহী পরিচালক পদ থেকে অপসারণ করে। তাঁর জায়গায় ওই পদে বসেন, হিতেন্দ্র দেব শাক্য।

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ঘিসিং-এর অপসারণের তীব্র সমালোচনা করেছিল সেই সময়।

আরও পড়ুন: জেন জি-রা চাইছেন নেপালের শীর্ষে বসুন তিনি, সেই সুশীলার উত্তরপ্রদেশে যাতায়াত ছিল! কারকির চমকে ওঠা ভারত-যোগ


কাঠমান্ডুর ১৫তম মেয়র বালেন্দ্র শাহ (বালেন শাহ নামেও পরিচিত)-এরও রয়েছে ভারত যোগ। ১৯৯০ সালে কাঠমান্ডুতে জন্মগ্রহণ বালেন্দ্রর। তিনি নেপালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়ন করেন এবং পরে ভারতের বিশ্বেশ্বরায়া টেকনোলজিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। 

ভারত যোগ রয়েছে সুশীলা কারকিরও। তথ্য, সুশীলা বিরাটনগরের মহেন্দ্র মোরাং কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর, উত্তরপ্রদেশের বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি (বিএইচইউ) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৫ সালে বেনারস থেকে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কারকি পরে নেপালের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ওই পর্বের পড়াশোনা শেষ হয় ১৯৭৮ সালে।


স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার এক সংবাদ সাক্ষাৎকারে কারকি জানিয়েছেন, তিনি জেন জি-দের আবেদন মেনে, এই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। একইসঙ্গে তিনি তাঁর বিএইচইউ শিক্ষার কথা স্মরণ করেছেন। জানান, তিনি এখনও তাঁর প্রয়াত শিক্ষক এবং বন্ধুদের স্মরণ করেন ভিন দেশে বসেও। তাঁর মনে পড়ে গঙ্গার কথা, নদী তীরে হস্টেলের কথাও। 

 জানা যায়, আইনজীবী হওয়ার আগে, তিনি শিক্ষিকা ছিলেন। কারকি ১৩ এপ্রিল ২০১৬ থেকে ১০ জুলাই ২০১৬ পর্যন্ত নেপালের সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তারপর ৭ জুন ২০১৭ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন