আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিউইয়র্কের ব্রুকলিনের বাসিন্দা জোনা ফ্যালকন নিজেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পুরুষাঙ্গের অধিকারী বলে দাবি করে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায়। বর্তমানে ৫৪ বছর বয়সী ফ্যালকন কয়েক বছর আগে ব্রিটিশ টেলিভিশন চ্যানেল আইটিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান দিস মর্নিং-এ উপস্থিত হয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা খোলাখুলি তুলে ধরেন। সেখানেই তিনি দাবি করেন, উত্তেজিত অবস্থায় তাঁর পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য ১৩.৫ ইঞ্চি এবং পুরুত্ব তাঁর কবজির থেকেও বেশি।
ফ্যালকনের কথায়, এই অস্বাভাবিক শারীরিক বৈশিষ্ট্য অনেকের কাছে ঈর্ষার বিষয় মনে হলেও বাস্তবে তা তাঁর জীবনে সুখের চেয়ে বিড়ম্বনাই বেশি ডেকে এনেছে। তিনি বলেন, “১৩ ইঞ্চির বেশি হলেই মানুষ ধরে নেয় আমি খারাপ মানুষ, অহংকারী, পর্ন তারকা, বোকা কিংবা চরিত্রহীন। আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি লোকজনের সামনে বারবার মাপজোক করে দেখাতে, এটা আমি হাজার হাজার বার করেছি।”
শুধু সামাজিক অস্বস্তিই নয়, ফ্যালকনের দাবি অনুযায়ী তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও ব্যাপক কৌতূহল রয়েছে। তিনি বলেন, তিনি একাধিক খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন, যাদের মধ্যে অস্কার মনোনীত ও অস্কারজয়ী ব্যক্তিরাও রয়েছেন। তবে নাম প্রকাশে তিনি স্পষ্টতই অনিচ্ছুক। তাঁর ভাষায়, “এরা পুরুষ না মহিলা সেটাও বলতে পারি না। তালিকাটা ছোট, তাই ইঙ্গিত দিলেই পরিচয় প্রকাশ হয়ে যাবে। শুধু এটুকু বলতে পারি, মেরিল স্ট্রিপ নন।”
ফ্যালকনের মতে, তাঁর বেশ কয়েকজন পরিচিত সঙ্গী ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দা এবং তারা সবাই হলিউডের ‘এ-লিস্টার’ নন, কিন্তু নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুপরিচিত। তিনি আরও দাবি করেন, বহু ক্ষেত্রেই খ্যাতনামা ব্যক্তিরাই তাঁকে খুঁজে নিয়েছেন। ফ্যালকনের কথায়, “আমি সম্ভবত একটা ‘ইউনিক প্রপার্টি’।”
এছাড়া তিনি স্বীকার করেছেন যে তিনি একাধিক পর্ন তারকার সঙ্গেও সম্পর্কে ছিলেন। সেখান থেকেই তিনি সবচেয়ে বেশি ‘প্রশংসা’ পেয়েছেন বলে দাবি করেন। তাঁর মতে, পর্ন দুনিয়ার মানুষরা বহু অভিজ্ঞ হওয়ায় তাদের কাছ থেকে পাওয়া প্রশংসা তাঁর কাছে বিশেষ গুরুত্ব রাখে।
তবে এই পরিচিতি তাঁর পেশাগত জীবনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ফ্যালকন। একজন অভিনেতা হিসেবে কাজ পেতে গিয়ে তিনি বারবার সমস্যার মুখে পড়েছেন। তাঁর ভাষায়, “কাস্টিং ডিরেক্টররা গুগলে আমার নাম সার্চ করলেই বলে, ‘ওকে নেওয়া যাবে না, ও শুধু তার পুরুষাঙ্গের জন্য পরিচিত।’” তিনি জানান, তাঁর অন্তত দু’জন কাস্টিং ডিরেক্টর বন্ধু সরাসরি তাঁকে বলেছেন যে এই কারণেই তাঁর অভিনয়জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সব মিলিয়ে, জোনা ফ্যালকনের জীবন একদিকে বিশ্বজোড়া কৌতূহল ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু, অন্যদিকে সেই একই কারণে সামাজিক ও পেশাগত ক্ষেত্রে গভীর সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে যেখানে তার ‘খ্যাতি’ নিজেই হয়ে উঠেছে এক ধরনের অভিশাপ।
