আজকাল ওয়েবডেস্ক: জন্মহারে তীব্র পতন এবং অভিবাসীর সংখ্যা দ্রুত কমার কারণে চলতি বছরের শেষ নাগাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জনসংখ্যা হ্রাসের সমম্সম্মুখীন হতে পারে। যা সেদেশে বড় সংকট ডেকে আনবে। ওয়াশিংটন-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট (এইআই)-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৫ সালে আমেরিকায় অভিবাসীর সংখ্যা ৫,২৫,০০০ হ্রাস পেতে পারে।
মার্কিন জনসংখ্যা হ্রাসের কারণ কী?
প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন জনসংখ্যা প্রায় ৬,০০০ হ্রাস পেতে পারে, ২০২৪ সালে মার্কিন আদমশুমারি অনুসারে মোট ৫,১৯,০০০ জন্মের খবর পাওয়া গিয়েছে, যা ২৫০ বছরের ইতিহাসে প্রথম দেশের জনসংখ্যা হ্রাসের কারণ। তথ্য থেকে জানা যায় যে, ২০২৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট অভিবাসন ২.৮ মিলিয়ন থেকে কমে ১,১৫,০০০-তে নেমে আসতে পারে, যা আন্তর্জাতিক অভিবাসনের ক্ষেত্রে ৯৬ শতাংশ হ্রাস।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৭৭৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কখনও জনসংখ্যা হ্রাস দেখা যায়নি এবং গৃহযুদ্ধের সময়ও দেশটি সমৃদ্ধ হয়েছে, যেখানে ৭,০০,০০০-এরও বেশি আমেরিকান নিহত হয়েছিল। নিউ ইয়র্ক পোস্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ও মার্কিন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি কি এর জন্য দায়ী?
বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন যে, অভিবাসনের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান মার্কিন জনসংখ্যা হ্রাসের অন্যতম কারণ।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক প্রতিবেদন অনুসারে, প্রায় ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ১.৪ মিলিয়নেরও বেশি লোকের সংখ্যা কমেছে, ট্রাম্প অবৈধ সীমান্ত অতিক্রমকারীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান আরম্ভ এবং ব্যাপকভাবে বহিষ্কার শুরু করার পর।
আরও পড়ুন- পাকিস্তানে শাসন করতে বড় কিছু করা পরিকল্পনা করছেন মুনির, শেহবাজ শরিফের সঙ্গে গোপন বৈঠকে কী কথা হল
মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, জানুয়ারিতে ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রায় ১.৬ মিলিয়ন অবৈধ অভিবাসী স্বেচ্ছায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেছেন।
উপরোক্ত কারণগুলি ছাড়াও, ক্রমহ্রাসমান প্রজনন হার মার্কিন জনসংখ্যা হ্রাসের আরেকটি প্রধান কারণ। ইনস্টিটিউট ফর ফ্যামিলি স্টাডিজের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আগামী ৩০ বছরে মার্কিন প্রজনন হার গড়ে মাত্র ১.৬ জন জন্মগ্রহণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখার জন্য ২.১ জন প্রজনন হারকে বিশ্বব্যাপী মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন- এক কেজি নুনের দাম ৩৫ হাজার টাকার বেশি! বিশ্বের সবচেয়ে দামী লবণ, কোথায় মেলে, কী এর বিশেষত্ব?...
