আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইরান ইজরায়েল দ্বন্দ্বের দিকে এখন নজর বিশ্বের। দুই দেশের ক্রমবর্ধমান সংঘাত চিন্তা বাড়াচ্ছে বিশ্ব বাজারের। কী হলে, কী হতে পারে, তা নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। দিনে দিনে বদলে যাচ্ছে সমীকরণ। এসবের মাঝেই বড় বার্তা ইজরায়েলের প্রেসিডেন্টের।
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর তেমনটাই। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রবিবার দাবি করেছেন, ইরানের ইসলামিক সরকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য বড়সড় হুমকি হিসেবে মনে করে আর ঠিক সেই কারণেই ট্রাম্পকে হত্যার পরিকল্পনা করছে ইরান।
নেতানিয়াহু ফক্স নিউজকে জানিয়েছেন তাঁর বাড়ির জানলায় মিসাইল ছোঁড়া হয়েছে। ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ক্ষমতার সামনে দাঁড়ানোর জন্য নিজেকে ট্রাম্পের "জুনিয়র পার্টনার" বলেও অভিহিত করেছেন।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সীমিত করতে চাওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পর, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি দ্রুত গতিতে এগিয়েছে। যদিও ইরান বলছে, তার কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ, আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা (IAEA) বলছে, ইরানের কাছে এখন এমন পর্যায়ের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে যা চাইলে একাধিক পারমাণবিক বোমা তৈরি করা সম্ভব।
এই পরিস্থিতিতে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশটির সংসদ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি (NPT) থেকে বেরিয়ে আসার একটি বিল প্রস্তুত করছে। তবে তেহরান জানিয়েছে, তারা এখনও গণবিধ্বংসী অস্ত্র নির্মাণে বিশ্বাসী নয়। ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায় না, তবে পারমাণবিক গবেষণা ও শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের অধিকার নিয়ে এগিয়ে যাবে। সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ধর্মীয় নির্দেশনাও গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বিপক্ষে।
এই পরিস্থিতি সামনে এসেছে যখন ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত তীব্র আকার নিয়েছে। ইজরায়েল ইরানের অস্ত্র স্থাপনাগুলোর আশপাশের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে বলেছে। এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লক্ষ্যবস্তুগুলোর একটি দীর্ঘ তালিকা প্রস্তুত রয়েছে। গত রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত উভয় দেশ একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও যুদ্ধ তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে।
