আজকাল ওয়েবডেস্ক: নেপালে জেন জি-র প্রতিবাদ বিক্ষোভে তটস্থ সকলেই। এরই মধ্যে একটি ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড় সর্বত্র। সেখানে এক পর্যটকের কাতর আর্তি সকলের নজর কেড়েছে। এই ভারতীয় মহিলা বর্তমানে নেপালের পোখহারাতে রয়েছেন। সেখানে তিনি যে হোটেলে ছিলেন সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয় জেন জি-র প্রতিবাদীরা। সেখান থেকে পালিয়ে কোনওরকমে তিনি প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener">A post shared by Prafful Garg (@praffulgarg)
যে পর্যটক এই ভিডিও করেছেন তার নাম উপাস্থা গিল। তিনি নেপালে একটি ভলিবল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন। তবে সেসব এখন অতীত। এবার সেখান থেকে পালাতে পারলে তিনি বাঁচেন। নিজের ভিডিওতে তিনি ভারত সরকারের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির ইস্তফার পরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি নেপালে। বর্তমানে ভারতের পড়শি দেশের শাসনভার সেনার দখলে। রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। বুধবার সকাল থেকে নেপালে বড় ধরনের কোনও অশান্তির ঘটনা না ঘটলেও চলছে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ। নেপালের বাঁকে জেলার সংশোধনাগারের সংঘর্ষে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অন্য দিকে, আনুষ্ঠানিক ভাবে নেপালের দায়িত্ব নিল সে দেশের সেনাবাহিনী। বিবৃতি দিয়ে জানানো হল, যত দিন পর্যন্ত না নতুন সরকার গঠিত হচ্ছে, তত দিন দেশের শাসনভার চালাবে তারা। শুধু তা-ই নয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশ জুড়ে কার্ফু জারি করা হয়েছে সেনার তরফে।
ছাত্র-যুব আন্দোলনে সোমবার এবং মঙ্গলবার দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় নেপালে। কাঠমান্ডু থেকে বিদ্রোহের সূত্রপাত হলেও তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে নেপাল জুড়ে। হাজার হাজার বিদ্রোহী নেমে পড়েন রাস্তায়। হাতে প্ল্যাকার্ড, মুখে স্লোগান। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান তাঁরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভের আগুনের আঁচে পুড়তে থাকে নেপালের পার্লামেন্ট ভবন, ওলি এবং তাঁর মন্ত্রীদের বাসভবন। সে দেশের সুপ্রিম কোর্টেও আগুন লাগিয়ে দেওয়ার খবর মেলে।
বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সুযোগে নেপালের জেলগুলিতে বিদ্রোহের আগুন ছড়ায়। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বন্দিদের সংঘর্ষের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। জেল ভেঙে পালানোর চেষ্টা করেন শয়ে শয়ে বন্দি। প্রতিরোধ করতে গেলে আক্রান্ত হন নিরাপত্তারক্ষীরা। পাল্টা গুলিও চালান তাঁরা। বাঁকের সংশোধনাগারে বন্দিরা পালানোর চেষ্টা করতেই গুলি চালায় পুলিশ। তাদের গুলিতে সাত জন আহত হন বলে খবর। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচ জনের মৃত্য হয়।
বাঁকে, পোখরান জেলে হামলা চালান আন্দোলনকারীরা। খবর, এখনও পর্যন্ত ১৬০০ জন বন্দি বিভিন্ন জেল থেকে পালিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নেপালের বিভিন্ন দিকে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সংবেদনশীল এলাকায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার রাতেই আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নেপালের সেনাপ্রধান অশোকরাজ সিগডেল। বিক্ষোভকারীদের দাবিদাওয়া কী, তা জানাই উদ্দেশ্য ছিল ওই বৈঠকের।