আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত ও চীনের মতো প্রাচীন সভ্যতাকে 'হুমকি (আলটিমেটাম)' দিয়ে চাপে ফেলা যাবে না। মার্কিন শুল্কনীতির কড়া নিন্দা করে এই মন্তব্য করেছেন রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। রাশিয়ার প্রধান চ্যানেল ১-এর 'দ্য গ্রেট গেম' অনুষ্ঠানে লাভরভ বলেছেন, ভারত ও চীনকে আমেরিকার নির্দেশে রাশিয়ান জ্বালানি কেনা বন্ধ করতে বলা হচ্ছে, যা উল্টে সেই দেশগুলিকে নতুন বাজার খোঁজার, নতুন উৎস থেকে জ্বালানি কেনার এবং অনেক বেশি দাম দেওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বিগত গত কয়েক সপ্তাহ ধরে, ট্রাম্প এবং তাঁর প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের সমালোচনা করেছেন। ওয়াশিংটনের অভিয়োগ, নয়াদিল্লি আসলে ইউক্রেনের যুদ্ধে অর্থের জোগান দিচ্ছে। ভারতের এই পদক্ষেপের জন্য আমেরিকা ভারতের উপর বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। যদিও ভারত শুরু থেকেই ট্রাম্পের এই শুল্ক-বোমাকে 'অযৌক্তিক, অন্য়ায্য ও অন্যায়' বলে জানিয়েছে।
রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মতে, আমেরিকার নির্বাচিত শুল্ক পদ্ধতির সঙ্গে "নৈতিক ও রাজনৈতিক" বিরোধিতা রয়েছে। লাভরভ ট্রাম্পকে সতর্ক করে বলেছেন, "চীন ও ভারত প্রাচীন সভ্যতা। ওদের কাছে এই ভাষায় বলা - 'আমার পছন্দ নয়, তাই এটা বন্ধ করো, নইলে শুল্ক চাপাব' - এভাবে কিছু হবে না। এর বিরুদ্ধে নৈতিক ও রাজনৈতিক আপত্তি আছে।"
রাশিয়ার উপর নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। য়া নিয়ে ল্যাভরভ বলেছেন যে- তিনি কোনও সমস্যা দেখছেন না। তিনি বলেন, "সত্যি বলতে, রাশিয়ার উপর আরোপিত নতুন নিষেধাজ্ঞায় আমি কোনও সমস্যা দেখছি না। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে সেই সময়ের জন্য অভূতপূর্ব বিপুল পরিমাণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। বাইডেনের আমলে তো নিষেধাজ্ঞাকে কূটনীতির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। সমঝোতার কোনও প্রচেষ্টা হয়নি।"
মার্কিন হুঁশিয়ারির কাছে দমে না গিয়ে রাশিয়ার থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে ভারত। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়েছে যে, দেশের স্বার্থ সবার আগে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
তবে, ম্প প্রশাসন এখনও রাশিয়ার তেল কেনার জন্য চীনের উপর শুল্ক আরোপ করেনি। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট চাপ দেওয়ার চেষ্টা জারি রেখেছেন। এ দিকে বারতের প্রতিও তাঁর সুর নরম। বৃহস্পতিবারও ট্রাম্প, ব্রিটেনে ভারত ও প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন- 'আমি ভারত এবং মোদির খুব ঘনিষ্ঠ', ব্রিটেনে দাঁড়িয়ে মন্তব্য ট্রাম্পের! কীসের ইঙ্গিত?
