আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের পর বিবাহবার্ষিকীর উদযাপন নিয়েও মেতে থাকে দম্পতিরা। একে অপরকে কীভাবে চমকে দেওয়া যায়, নানা উপহার, খাওয়াদাওয়া, উদযাপনের পরিকল্পনাও চলে কয়েকদিন ধরে। বিশেষত বিবাহবার্ষিকীতে রোমান্টিক মুহূর্ত কাটাতেই চান সকলে। কেউ দামি উপহার দেন, কেউ অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটান, কেউ ঘুরতে যান। কিন্তু বিবাহবার্ষিকীর উপহার যে সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারে, তা কে জানত!
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি এক তরুণী বিবাহবার্ষিকীতে স্বামীর থেকে পাওয়া উপহার নিয়ে লম্বা একটি পোস্ট করেন। ৩১ বছরের যুবতী জানিয়েছেন, এটি ছিল তাঁদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী। তিনি স্বামীর জন্য দামি উপহার কিনেছিলেন। স্বামীর পছন্দের ব্র্যান্ডের দামি স্মার্ট ওয়াচ কিনেছিলেন। সেটি সুন্দর করে সাজানো ছিল বাক্সে। মোমবাতির আলোয় সাজিয়েছিলেন ঘর। পাশাপাশি স্বামীর পছন্দের খাবার নিজে হাতে রান্না করেছিলেন।
বাড়ি ফিরেই স্বামীকে উপহার দিয়ে যুবতী চমকে দেন। এরপরই আসে স্বামীর উপহারের পালা। যুবতী যখন স্বামীর উপহারের খোলেন, তখনই দুঃখে ভেঙে পড়েন। দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকীতে স্বামীর তাঁকে ১০০ ডলারের একটি গিফট কার্ড দেন। সেই গিফট কার্ডটি ছিল স্বামীর পছন্দের গেমিং স্টোরের।
উপহারটি দিয়েই যুবতীকে জানান, এই গিফট কার্ডটি তিনি দুজনের কথা ভেবেই কিনেছিলেন। যাতে দুজনে ওই গেমিং স্টোরে গিয়ে একসঙ্গে খেলাধুলা করে সময় কাটাতে পারেন। নিজের পছন্দের উপহার বিবাহবার্ষিকীতে দেওয়ায়, স্বামীর উপর রেগে লাল হয়ে যান যুবতী। বিবাহবার্ষিকীর রাতেই স্বামীকে ছেড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। সোজা গিয়ে বোনের বাড়িতে ওঠেন। আর ফিরেও যাননি স্বামীর কাছে।
যুবতী জানিয়েছেন, বিয়ের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকীর উপহার পেয়ে তাঁর মনে হয়েছে, স্বামী অত্যন্ত কৃপণ। পাশাপাশি স্বার্থপরও। তিনি বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীর পছন্দের কথা না ভেবে, নিজের পছন্দকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। স্ত্রীকে দেওয়ার অজুহাতে আসলে উদ্দেশ্য ছিল, সেই গিফট কার্ড নিয়ে নিজের পছন্দের গেম খেলা।
স্বামীর ইচ্ছে ছিল, একটি গিফট কার্ডেই নিজের ইচ্ছে পূরণ করবেন। সেখানে স্ত্রীর পছন্দকে গুরুত্ব দেননি। স্বামীর এহেন আচরণে দুঃখে, রাগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এমন আচরণের কথা সোশ্যাল মিডিয়াতেও শেয়ার করেন তিনি। যুবতীর তিক্ত অভিজ্ঞতা পড়ে অনেকেই সান্্ত্বনা দিয়েছেন তাঁকে। কেউ কেউ ডিভোর্সের কথাও উল্লেখ করেছেন।
একজন লিখেছেন, 'আপনার স্বামী কতটা স্বার্থপর, তা পড়েই বোঝা যাচ্ছে। আপনার আর কখনও তাঁর সঙ্গে সংসারে থাকা উচিত নয়। এমনকী কোনও উপহার দেওয়াও উচিত না।' আবার একজন লিখেছেন, 'আপনি ডিভোর্স দিয়ে দিন।' আরেকজন লিখেছেন, 'গেমিং স্টোরে গিয়ে উচিত শিক্ষা দিন স্বামীকে। যাতে কখনও তিনি নিজের এই আচরণ ভুলতে না পারেন।'
যদিও বিশেষজ্ঞরা এই পোস্ট পড়ার পর লিখেছেন, স্বামীর আচরণে ক্ষুব্ধ হলে তা আলোচনা করে মেটানো উচিত। নয়তো সম্পর্কে ফাটল ধরে। বিশেষ দিনে এভাবে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায়, আদতে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। বরং আরও তিক্ত অভিজ্ঞতা বাড়তে পারে।
