সুমনা আদক: পিকাসো থেকে ভ্যান গঘ, রেনোয়ার থেকে রেমব্রান্টদের মতো বিশ্ববিখ্যাত চিত্রশিল্পীদের শিল্পকর্ম সংরক্ষিত রয়েছে ব্রিটেনের ফিটজ্ উইলিয়াম মিউজিয়ামে। ১৮১৬ সালে সপ্তম রিচার্জ ফিটজ্ উইলিয়ামের উদ্যোগে এই সংগ্রহশালাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কেমব্রিজ শহরের ট্রামপিংটন স্ট্রিটের পাশেই রয়েছে এই মিউজিয়ামটি। ব্রিটেনের মুদ্রার নিরিখে ৮০ হাজার পাউন্ড দিয়ে নির্মিত এই মিউজিয়ামের শুরুর দিকটা মসৃণ ছিল না।
সবুজ গালিচায় বিছানো প্রান্তরের শেষে মিউজিয়ামের মার্বেলের কারুকার্য বলে দেয় কত শতাব্দীর শিল্পকলা বন্দি রয়েছে এই ফটকের অন্দরে। সামনেই রয়েছে ১৫ ফুট উচ্চতার মেইন গেট। মূল ফটকের সামনে সজ্জিত হাতির মুখ হস্তশিল্পের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে। ১৮৩৭ সালে স্যার গিলবার্ট আইলেসলি পেডিমেন্ট হস্তশিল্পর নকশায় এই সিংহের মুখ তৈরি করেছিলেন। বর্তমানে যার মূল্য প্রায় ৫ লক্ষেরও বেশি।
ফিটজ্ উইলিয়াম মিউজিয়ামের অন্দরে মোট পাঁচটি বিভাগ রয়েছে। তাদের মধ্যে ফলিত, মুদ্রা, পুরাতত্ত্ব, অঙ্কন, ভাস্কর্য বিভাগ বিদ্যমান। এই বিভাগগুলি ভিন্ন ভিন্ন সভ্যতার সাক্ষী হিসাবে ভূমিকা পালন করে।
ভ্যান গঘ, রেনোয়ার, পিকাসোর মনস্তত্ত্বর রূপকল্প কখনও প্রকৃতি কখনও রমণী কখনও শিশুর সারল্য নিয়ে ফুটে উঠেছে মিউজিয়ামের ছত্রে ছত্রে।
ষোড়শ শতকের উইলিয়াম বার্ড, আরল্যান্ড গিবস থোমাস ট্যালির সঙ্গীতের সুরমূর্ছনা যেন মিউজিয়ামের অন্দরে ঝঙ্কার তোলে। ভারতীয় থেকে মিশরীয় সভ্যতার প্রাচীন কৃর্তির নিদর্শন পাওয়া যায় মিউজিয়ামের প্রতিটি কোনায়। মিশরীয় মমি থেকে স্টোন ওয়ার্ক প্রতিটি জিনিসই অতিযত্নে সংরক্ষিত রয়েছে মিউজিয়ামে।
উল্লেখ্য, অলিভিয়া লার্নিং–এর ‘এভরিবডি অফ দি বুক’ বইতে মিউজিয়ামের জন্মলগ্নের ইতিহাস উল্লেখ রয়েছে। ষোড়শ শতাব্দীর রানী এলিজাবেথের একাধিক সঙ্গীত সংগৃহীত রয়েছে এই মিউজিয়ামে। ইংল্যান্ডের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ১৬ টি প্রকল্পের মধ্যে ফিটজ্ উইলিয়াম মিউজিয়াম অন্যতম।
