আজকাল ওয়েবডেস্ক: বর্তমানে কারাগারে বন্দি রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখান থেকেই তোপ দাগলেন সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, মুনির ক্ষমতা ব্যবহার করে তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে অন্যায়ভাবে নিশানা বানিয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছেন।
এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ শেয়ার করা একটি সাম্প্রতিক বার্তায় খান বলেছেন, যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন, তখন জেনারেল মুনিরকে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। ইমরানের অভিযোগ, মুনির বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য অন্যান্য লোকের মাধ্যমে বুশরা বিবির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে, বুশরা তা প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছিলেন, সরকারি বিষয়ে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই এবং তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন না।
ইমরানের বিশ্বাস, এই প্রত্যাখ্যানের ফলে মুনিরের মনে ক্ষোভ পুষে রেখেছিলেন। এর ফলেই বুশরার সঙ্গে কঠোর আচরণ করছেন এবং তাঁকে ১৪ মাস দীর্ঘ কারাবাসে রেখে দিয়েছিলেন। ইমরান আরও জানিয়েছেন, এই দীর্ঘ বন্দিদশা খুব কষ্টে কাটাতে হয়েছিল তাঁর স্ত্রীকে।
স্ত্রীর কষ্টে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমার স্ত্রী যে অবস্থার মধ্য দিয়ে গিয়েছে তা আগে কখনও ঘটেনি। এমনকি সামরিক শাসনের অধীনে পাকিস্তানের সবচেয়ে খারাপ সময়েও নয়।” তিনি আরও উল্লেখ করেছে, কোনও প্রমাণ বুশরাকে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইমরান লিখেছেন, “তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। একজন গৃহিণী। তবুও, তাকে এমন শাস্তি দেওয়া হচ্ছে যেন তিনি কোনও গুরুতর অপরাধ করেছেন,” ইমরান আরও অভিযোগ করেছেন, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তাঁকে বুশরার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।
ইমরানের দাবি, জেল কর্তৃপক্ষ ১ জুন তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে দেয়নি। যদিও আদালত তাঁকে সাক্ষাতের অনুমতি দিয়েছে। তিনি এই ঘটনাকে কারাগারের নিয়ম এবং মৌলিক আইনি অধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন।
২০২৩ সালের ৯ মে সামরিক ভবনে হামলার ঘটনার কথা উল্লেখ করে ইমরানের দাবি, এটি তার রাজনৈতিক দল, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ভেঙে ফেলার জন্য পরিকল্পিত।
