আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তপ্ত বাংলাদেশের মাটি। দফায় দফায় বিক্ষোভ, ভাঙচুর। ১৭ বছর পর এই উত্তাল পরিস্থিতিতেই দেশে ফিরলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান। সঙ্গী তাঁর স্ত্রী ড. জুবেইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। বৃহস্পতিবারেই ঢাকায় পৌঁছবেন তাঁরা। 

 

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১১টা বেজে ১৩ মিনিট নাগাদ ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক। আজ সকাল ৯টা বেজে ৫৬ মিনিটে লন্ডন থেকে সিলেটে পৌঁছন তারেক। সকাল ১১টা বেজে ৫০ মিনিট নাগাদ ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছনোর কথা তাঁর। 

 

জানা গেছে, ঢাকা বিমানবন্দরেই তারেক রহমানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত জানাবেন বিএনপি দলের নেতা, কর্মী, সমর্থকরা। এরপর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তারেক। সেই হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। মায়ের সঙ্গে খানিকক্ষণ সময় কাটানোর পর ১৯৬ গুলশান অ্যাভিনিউয়ে নিজের বাসভবনে যাবেন তিনি। 

 

কেন উত্তাল পরিস্থিতি বাংলাদেশে? 

 

প্রসঙ্গত, ভারত বিরোধী বক্তব্যের জন্য পরিচিত, বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব, ৩২ বছর বয়সি হাদি ২০২৪ সালের ছাত্র অভ্যুত্থানের সময় খ্যাতি লাভ করেন। চলতি মাসের শুরুতে মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের গুলিতে হাদি আহত হন। গত সপ্তাহে সেই আঘাতের কারণে সিঙ্গাপুরে মারা যান তিনি। গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম ফ্রন্টলাইনার শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখন উত্তাল রয়েছে বাংলাদেশ। 

 

গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত ও ভারত বিরোধী ছাত্রনেতা শরিফ ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশায় যাওয়ার সময় খুব কাছ থেকে গুলিবিদ্ধ হন। মোটরসাইকেলে আসা দুই হামলাকারী তাঁর মাথায় গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসকেরা তাঁর ব্রেনে মারাত্মক চোটের কথা জানান। পরে তাঁকে সিঙ্গাপুরে এয়ারলিফট করা হয়।

এরপর ১৮ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুর পর গোটা বংলাদেশ জুড়ে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকার শাহবাগ মোড়-সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়ে দ্রুত গ্রেপ্তার ও ন্যায়বিচারের দাবি জানান। শুরু হয় বিরাট প্রতিবাদ আন্দোলন। 

 

দিন কয়েক আগেই ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।