আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প ও জেলেনস্কি। তার আগেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দু'টি বড় দাবি খারিজ করে দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মস্কোর কাছ থেকে ইউক্রেনের, ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এছাড়াও ইউক্রেন, ন্যাটো জোটের সদস্য হতে পারবে না বলে নিজের সোশাল মিডিয়া 'ট্রুথ'-এ সাফ ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। প্রশ্ন হল তাহলে কি রাশিয়ার দাবিকেই মান্যতা দিচ্ছেন ট্রাম্প?
এর আগেই অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সিএনএন-কে বলেছিলেন যে, মস্কো সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির অংশ হিসাবে কিয়েভকে ন্যাটো-ধাঁচের নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে ইচ্ছুক। বিষয়টিকে "খেলা পরিবর্তনকারী" হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছিল। তারপরই ট্রাম্পের পোস্ট ঘিরে নয়া মোড়।
বৈঠকের আগেই ট্রাম্প তাঁর বক্তব্য প্রায় পরিস্কার করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গেই সোমবার ফের যুদ্ধ থামানোর দায় জেলেনস্কির ঘাড়েই চাপিয়েছেন ট্রাম্প। সোশাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, 'চাইলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এখনই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ থামাতে পারেন। আবার তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যেতেও পারেন। তবে মনে রাখতে হবে যে কীভাবে এটা (যুদ্ধ) শুরু হয়েছিল।'

এরপরই তিনি লিখেছেন, 'ওবামার দেওয়া ক্রিমিয়া আর ফেরত পাবেন না। আর ন্যাটো-তেও ইউক্রেন ঢুকতে পারবে না। কিছু জিনিস অপরিবর্তনশীল।'
প্রেসিডেন্ট হওয়ার ছয় মাস পর, ট্রাম্পের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইউক্রেনে শান্তি অর্জনের প্রতিশ্রুতি তাঁর ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। নোবেল শান্তি পুরস্কারে এখন নজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের। এই প্রেক্ষিতে তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট দাবি করেছেন যে, ট্রাম্প তাঁর ছয় মাসের মেয়াদে গড়ে একটি সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছেন - ভারত ও পাকিস্তান -সহ - মার্কিন প্রেসিডেন্টের যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়টি তিনি আরও একটি পদক্ষেপ হিসাবে দেখছেন।
ইতিমধ্যেই ওয়াশিংটন পৌঁছে গিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের বোমার পরই জেলেনস্কি বলেছেন, "যুদ্ধ দ্রুত শেষ হোক, আমরা সকলেই তাই চাই। আর শান্তি চিরস্থায়ী হোক। কিন্তু আগের মতো যেন না-হয়। এর আগে ইউক্রেনকে ক্রিমিয়া এবং আমাদের পূর্ব দিকের একাংশ ডনবাস ছেড়ে দিতে হয়েছিল।"
প্রেসিডেন্টে হওয়ার ছয় মাস পর, ট্রাম্পের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইউক্রেনে শান্তি অর্জনের প্রতিশ্রুতি তার ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। নোবেল শান্তি পুরস্কারের দিকে এক নজর রেখে এবং তার প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট দাবি করেছেন যে ট্রাম্প তার ছয় মাসের মেয়াদে গড়ে একটি সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছেন - ভারত ও পাকিস্তান সহ - মার্কিন রাষ্ট্রপতির যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়টি তিনি আরও একটি পদক্ষেপ হিসাবে দেখছেন।
তবে, ট্রাম্পের দু'টি বোমা কী মেনে নেবেন জেলেনস্কি? বৈঠকের আগে এখন তা নিয়েই জোর জল্পনা। জোর করে কি শান্তি চুক্তি বাস্তবায়িত হবে? নাকি পরিস্থিতি আরও সংঘাতের দিকে এগোবে? সময়ের গর্ভে লুকিয়ে তার উত্তর।
আরও পড়ুন- ভারত–পাকিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিন নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র: মার্কো রুবিও
