আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আসন্ন?‌ মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায় তেমনই ইঙ্গিত মিলছে?‌ বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ঘোষণা করে দিয়েছেন, আমেরিকা আবার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করবে। ১৯৯২ সালের পর আবার। ১৯৯২ সালে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষার উপর স্থগিতাদেশ চাপিয়েছিল আমেরিকা।


ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া ও চীন যেভাবে পারমাণবিক কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছে। বা সফল পরীক্ষা চালাচ্ছে। তার পাল্টা হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প বলেছেন, ‘‌যে কোনও দেশের তুলনায় পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার আমেরিকার অনেক বেশি। তালিকায় দুইয়ে থাকবে রাশিয়া। আর চীন তিনে থাকলেও ব্যবধান অনেকটাই বেশি।’‌ তিনি আরও বলেছেন, ‘‌অন্যান্য দেশগুলি যেভাবে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষামূলক কর্মসূচী চালাচ্ছে, তা দেখেই দেশের সামরিক বাহিনীকে এই নির্দেশ দিয়েছি। অবিলম্বে এই পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা শুরু হবে।’‌


অবশ্য সাফাই গেয়ে ট্রাম্প এটাও বলেছেন, ‘‌আমি এটার বিরোধী। কিন্তু আমার হাতে আর কোনও বিকল্প ছিল না।’‌ 


ট্রাম্পের এই কথা বাস্তবায়িত হলে ১৯৯২ সালের পর ফের পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে শুরু করছে আমেরিকা। তবে সুরক্ষার দিক বিবেচনা করেই এই পরীক্ষা চালানো হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।

 

আরও পড়ুন:‌ ট্রাম্পের নতুন দাবি: “ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধ থামাতে ২৫০% শুল্কের হুমকি দিয়েছিলাম” — মোদিকে ‘কিলার’ বলেও বর্ণনা...


আর এই পরীক্ষা হলে সেটা একটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হবে। কারণ ১৯৯২ সালেই আমেরিকা এই পরীক্ষার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। যা ভেঙে দিলেন ট্রাম্প। এটা ঘটনা ট্রাম্প বারবার দাবি করে এসেছেন, তিনি নাকি আট আটটি যুদ্ধ থামিয়েছেন। তিনি শান্তির পক্ষে। সেই তিনিই দিলেন পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষার নির্দেশ।


এটা ঘটনা, রাশিয়া ও চীন সম্প্রতি নিজেদের ক্ষমতা দেখাতে শুরু করেছে। পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে। আর তাতেই কী ট্রাম্প ভয় পেলেন?‌ নাকি পাল্টা শত্রু শিবিরকে চাপে রাখতে এই কৌশল মার্কিন প্রেসিডেন্টের?‌ সময় দেবে উত্তর। 


প্রসঙ্গত, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগেই ট্রাম্পের এই ঘোষণায় বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে।