আজকাল ওয়েবডেস্ক: কমছে চিনের জনসংখ্যা। ফলে মাথায় হাত দিয়ে এবার বসে পড়ছেন চিনা সরকার। সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে চিনে বিবাহ কমছে ২০.৪ শতাংশ। এই সমীক্ষা করা হয়েছে ২০২৪ সালের হিসাব অনুসারে। ১৯৮৬ সাল থেকে চিনের জনসংখ্যার হিসাব সামনে নিয়ে এসে এই খতিয়ান তুলে ধরেছে চিনা সরকার। বিষয়টি নিয়ে এবার বিরাট চিন্তায় চিনা সরকার।


তথ্য থেকে দেখা গিয়েছে ২০২৪ সালে চিনে ৬.১ মিলিয়ন মানুষ বিয়ের জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। এটি ২০২৩ সালে ছিল ৭.৭ মিলিয়ন। ফলে বিশ্বের জনসংখ্যার নিরিখে সবথেকে বিশাল থাকে এই দেশটির জনসংখ্যা ঘাটতির দিকে চলেছে। যেভাবে এখানে বিয়ের প্রতি সকলের আগ্রহ কমছে তাতে অশনি সঙ্কেত দেখছে চিনা সরকার।


চিনে বিয়ের উপর নির্ভর করে সেখানকার অর্থনীতির একটি বিশেষ দিক। প্রতিটি বয়সের মানুষ চিনে কীভাবে নিজের কাজ করে সেদিকে নজর রাখতেই চিনে এই জনসংখ্যার দিকটি দেখা হয়। সেদেশে বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে বয়সের হার রয়েছে ১৬ থেকে ৫৯ পর্যন্ত। চিনে বর্তমানে ২২ শতাংশ মানুষের বয়স ৬০ বছরের বেশি রয়েছে। তাই আগামীদিনে কাজের দিকেও চিনের জনসংখ্যা অনেক বেশি প্রভাবশালী হবে।

 


জনসংখ্যার দিক থেকে দেখতে হলে চিন প্রতি বছরেই পিছিয়ে পড়ছে। চিনা সরকার জানিয়েছেন যদি এই ধারা চলতে থাকে তাহলে তারা আগামীদিনে বিরাট সমস্যার সামনে পড়বেন। এখানেই শেষ। সকলকে অবাক করে দেখা গিয়েছে চিনে প্রতি বছর বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা বাড়ছে। ২০২৪ সালে চিনে ২.৬ মিলিয়ন দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এটি ছিল ২৮ হাজার করে বেশি। 


এতদিন ধরে চিনে ৩০ দিনের ছাড় থাকে প্রতিটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার ক্ষেত্রে। তারপর দুপক্ষেই যদি রাজী থাকে তাহলে সেখানে তারা আলাদা হয়ে যেতে পারেন। তবে এবার থেকে এই সময়সীমা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। এবিষয়ে আরও পদক্ষেপ নিতে চলেছে চিনা সরকার।