আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তাল বাংলাদেশ। গত কয়েকদিনে আন্দোলন-বিক্ষোভ-গুলি-মৃত্যু মিছিলে থমকে ওপার বাংলা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার জারি করেছিল কারফিউ, বন্ধ ছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। এই মুহূর্তে বিক্ষোভের আঁচ কিছুটা কমলেও ছাত্রদের একটা অংশ এখনও অনড় আন্দোলনে। আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বড় সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ সরকারের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রী কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সময় নিলেন না বেশি।



বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, শাসক-জোটের মতে, সে দেশের উত্তাল পরিস্থিতি-বিক্ষোভ-নাশকতার পিছনে রয়েছে জামায়েত শিবির। বাংলাদেশের সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর তেমনটাই। সোমবার আওয়ামী লিগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের জোট সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হবে জামায়াত-শিবির। এক-দু’ দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এই বৈঠক বসে। জানা গিয়েছে, ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

বাংলাদেশের উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ১৯ জুলাই রাতে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করে কারফিউ জারি, সেনা নামানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। আন্দোলনের মাঝেই সুপ্রিম কোর্টের আমূল কোটা সংস্কারের রায় দিয়েছে। দিনে দিনে কিছুটা শান্ত পরিস্থিতি। ঠিক ১০ দিনের মাথায়, ২৯ জুলাই ফের জরুরি বৈঠক ডেকে জামায়াত ইসলামিকে নিষিদ্ধ করার কথা জানালেন হাসিনা।