আজকাল ওয়েবডেস্ক: জুলাই আন্দোলন বদলে দিয়েছে পদ্মা পারের রাজনীতি। মুজিব কন্যাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে। মুজিবের মূর্তি ভেঙেছে তাঁর দেশেই। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে, বাংলাদেশ চালাচ্ছে অন্তবর্তী সরকার। 'কবে নির্বাচন?' প্রশ্ন ঘুরছে পদ্মাপারে পেরিয়ে দেশের আনাচে কানাচে। হাসিনা বার্তা দিয়েছেন, শ্রীঘ্রই ফিরবেন, ফিরবে আওয়ামী লিগ।
এই পরিস্থিতিতে, ১০ মে, শনিবার আওয়ামী লিগের কার্যকলাপ বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষোনা করল বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার। সমাজ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জানানো হয়েছে সেকথা। কী লেখা হয়েছে?
বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভা হয়েছে। তাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কোনও রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, 'উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লিগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগ এর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।' সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ছাড়াও, বৈঠক শেষে অন্তবর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন। পরবর্তী কর্মদিবসে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নোটিস জারি করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
