আজকাল ওয়েবডেস্ক: গবেষণায় আন্দাজ হচ্ছে গোটা ইউনিভার্সের মধ্যে এই কাঠামো নাকি সবচেয়ে বড়। এমনই চমকপ্রদ আবিষ্কার করেছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। এই বিশাল কাঠামোর নাম দেওয়া হয়েছে ‘কুইপু’ জানানো হয়েছে, এই বিশাল কাঠামো প্রায় ১.৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ জুড়ে বিস্তৃত এবং এতে আনুমানিক ২০০ কোয়াড্রিলিয়ন সৌর এনার্জি রয়েছে। ইনকা সভ্যতার গণনার জন্য ব্যবহৃত একক কুইপু থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই বিশালাকার কাঠামোর নাম রাখা হয়েছে সেই নামেই।

 

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ইনকা সভ্যতার গণনা ব্যবস্থার মতো একটি মূল কেন্দ্রের সঙ্গে একাধিক শাখাযুক্ত অংশ রয়েছে কুইপুর। তাঁদের মতে, কুইপুর বিশালত্ব চোখে পড়ার মতো। পৃথিবী যার অংশ সেই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির দৈর্ঘ্যের ১৩,০০০ গুণেরও বেশি এবং এখন পর্যন্ত পরিচিত বৃহত্তম মহাজাগতিক গঠনের মধ্যে অন্যতম এই কুইপু এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এমনকি, এতদিন পর্যন্ত বৃহত্তম কাঠামোর রেকর্ড ছিল যার দখলে সেই লানিয়াকেয়া সুপারক্লাস্টারকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে এই কুইপু। কিন্তু কীভাবে আবিষ্কৃত হল কুইপু? এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ইউনিভার্সে পদার্থ কীভাবে ছড়িয়ে গিয়েছে তার গবেষণা চালাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা।

 

বিশদভাবে মানচিত্রে চিহ্নিত করার একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টার অংশ এটি। জানা গিয়েছে, কোনও মহাজাগতিক বস্তু যত দূরে থাকে, তার আলো তত বেশি লাল বর্ণের দিকে সরতে থাকে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ‘কুইপু আসলে এক বিস্ময়কর গঠন যা ইউনিভার্সের ক্লাস্টার মানচিত্রে খালি চোখেই স্পষ্টভাবে দেখা যায় বিশেষ কোনো শনাক্তকরণ পদ্ধতির সাহায্য ছাড়াই’। জানা গিয়েছে, এই নতুন ধরনের মহাজাগতিক কাঠামোগুলি মূলত ৪২৫ মিলিয়ন থেকে ৮১৫ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত।