আজকাল ওয়েবডেস্ক: বয়স তো সংখ্যা মাত্র। আর প্রেমে থাকে না কোনও নিয়মাবলি। কে, কখন, কার প্রেমে হাবুডুবু খাবে, কে কোন সুখস্মৃতি উপহার দেবে, তা কেউই আগে থেকে টের পান না। প্রেমিকের বয়স নিয়ে তাই কোনও মাথাব্যথা নেই ৫৫ বছরের এক প্রৌঢ়ার। প্রেমে পড়লে মেনে চলেন না গতানুগতিক ধারাও। 

৫৫ বছরের প্রৌঢ়া একজন ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার। সন্তান, নাতি, নাতনি রয়েছে তাঁর। এতদিন শরীরচর্চার জন্য বেশ জনপ্রিয় ছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে বর্তমানে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জোর চর্চা চলছে সমাজমাধ্যমের পাতায়। করণ, সম্প্রতি তিনি তাঁর প্রেমের কাহিনি শেয়ার করেছেন। এও জানিয়েছেন, এটা তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা প্রেমের সম্পর্ক। 

প্রৌঢ়া জানিয়েছেন, তিনি একসঙ্গে যমজ ভাইকে ডেট করেছেন। টানা তিন সপ্তাহ তাঁদের সঙ্গে কাটিয়েছেন। দিনভর গল্প, আড্ডা, ঘোরাঘুরি করেছেন। দু'জনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কেও লিপ্ত হয়েছেন। যমজ ভাই তাঁর চেয়ে বয়সে অনেক ছোট। কিন্তু দু'জনের সঙ্গে একসঙ্গে প্রেম করাটা তাঁর কাছে ছিল 'থেরাপি'র মতো। মানসিকভাবে তো বটেই, শারীরিকভাবে তৃপ্তি পেয়েছেন তিনি। 

আরও পড়ুন: বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরাচ্ছিল নববধূর, শুনেই ফুলশয্যার রাতে স্বামী যা ঘটালেন, দুই পরিবারে তুমুল ঝামেলা

প্রৌঢ়া লিখেছেন, 'ব্রাজিলে ঘুরতে গিয়ে যমজ ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল। টানা তিন সপ্তাহ তাঁদের সঙ্গে কাটিয়েছি। প্রথমে অদ্ভুত লাগলেও, ধীরে ধীরে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছিলাম ওঁদের সঙ্গে। প্রেমে তীব্র উন্মাদনা ছিল। চিরকাল এই অভিজ্ঞতা আমার স্মরণে থাকবে। আমাদের কথোপকথন ভীষণ গভীর হত। ইমোশনাল যেমন ছিল, উদ্দাম যৌনতায় ছিল। সবকিছু মিলিয়ে সম্পর্কটা আমার কাছে থেরাপির মতো ছিল।' 

অ্যান্ড্রিয়া নামের ওই প্রৌঢ়া আরও জানিয়েছেন, প্রতিবছর তিনি ব্রাজিলে ঘুরতে যান। অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি বাড়ি ফেরেন বহু অভিজ্ঞতা নিয়ে। কখনও হালকা রোম্যান্সের অভিজ্ঞতা, কখনও অপরিচিত কারও সঙ্গে যৌনতা, কখনও বা উদ্দাম প্রেম। 

যদিও তাঁর এই খোলামেলা জীবনযাপনে পরিবারের তীব্র আপত্তি। তা সত্ত্বেও নিজের শর্তে বাঁচছেন তিনি। অ্যান্ড্রিয়া জানিয়েছেন, 'প্রত্যেক মানুষের ভয় কাটিয়ে নিজের শর্তে বেঁচে থাকা উচিত। আমি অনেক বছর ধরে সিঙ্গেল। এটা আমার একমাত্র জীবন। আর আমার ইচ্ছে। এটুকুই। কারও আপত্তি আমি শুনব না।' 

ফিটনেস ও শরীরে এখনও তারুণ্যের ছাপ থাকায়, তাঁর অর্ধেক বয়সের ছেলেরা প্রায়ই প্রেমে হাবুডুবু খান বলে জানিয়েছেন অ্যান্ডিয়া। কেউই তাঁর বয়স আন্দাজ করতে পারেন না। প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা তিনি শরীরচর্চা করেন। বছরে পাঁচ হাজার ডিম খান। তাঁর কথায়, 'বয়সে ছোট প্রেমিকরা আমার এনার্জি দেখে চমকে যান। প্রেমে পড়ার সময় তাই বয়স ভুলে যান।' 

ব্রাজিল থেকে ফেরার পর যমজ ভাইয়ের তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে সম্পর্কের পরিণতি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না আপাতত। তিন সপ্তাহ চুটিয়ে আনন্দ করাটাই ছিল তাঁর কাছে সেরা স্মৃতি। এর বেশি আর কিছু আপাতত ভাবতেই চান না। ভবিষ্যৎ নিয়ে আগাম কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। আপাতত জীবনকে চুটিয়ে উপভোগ করতে চান। শরীরচর্চায় আরও মন দিতে চান। প্রেম যদি আবারও আসে, তিনি ফেরাবেন না। বরং নতুন অভিজ্ঞতার জন্য মুখিয়ে আছেন অ্যান্ডিয়া।