আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্যানিবালিজিম-এর উদাহরণ পাওয়া গেল দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডে। একসঙ্গে পুরুষ-মহিলা-শিশু মিলিয়ে অন্তত ৩৭জনকে হত্যা করে, তাদের মাংস খাওয়া হয়েছিল কোনও এক অনুষ্ঠান বা জমায়েতে। এই ভয়াবহ, নারকীয় ঘটনা ঘটেছিল অন্তত ৪হাজার বছর আগে। সেই ঘটনা ফের চর্চায়।
সম্প্রতি অ্যান্টিকুইটি-তে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে প্রকাশ্যে এসেছে ওই ঘটনার কথা। তাতে মনে করা হচ্ছে, চার্টারহাউস ওয়ারেন ফার্মের একটি প্রায় ৫০ফুট গভীর গর্তের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে নরকঙ্কাল, খুলি, হাড় এবং দাঁত। সেগুলি থেকে স্পষ্ট হয়েছে, কোনও এক বিশেষ বয়সের বা বিশেষ লিঙ্গের নয়, পুরুষ-মহিলা-শিশু প্রায় সব বয়সের অন্তত ৩৭জনকে হত্যা করা হয়েছিল। ওই গবেষণা পত্রে বলা হচ্ছে, শুধু হত্যা নয়, ওই দেহগুলিকে হত্যার পর খাওয়া হয়েছিল। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে বেশকিছু হাড়ে মানুষের দাঁতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
অ্যান্টিকুইটির জার্নালে প্রকাশিত তথ্য, ওই ভয়াবহ, মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে ২২১০-২০১০ বিসি অর্থাৎ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে। ১৯৭০ সালে ব্রিস্টলের কাছে আবিষ্কৃত হওয়া ওই চার্টারহাউস ওয়ারেন ফার্ম আবিষ্কৃত হয়। প্রাথমিকভাবে ওই জায়গাটিকে ব্রোঞ্জ যুগের সমাধি হিসেবে ধরা হয়েছিল। যদিও সাম্প্রতিকতম গবেষণা বলছে, ওইসব ব্যক্তি-মহিলা-শিশুকে আচমকা বন্দি করা হয়েছিল। তাদের শরীরে গুলি বা গভীর ক্ষতের চিহ্ন ছিল না। যেসব হাড় পাওয়া গিয়েছে তাতে যেসব আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি মূলত খুলি বা হাড়ে, যেগুলি কাঠের উপর রেখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাংস কাটার সময় হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, মাংস নেওয়ার পর হাড়গুলি ফেলে দেওয়া হয় ওই গর্তে। পরে ওই মাংস খাওয়াও হয়।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ব বিভাগের অধ্যাপক রিক শল্টিং ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এই ঘটনা, এই নমুনার হদিশ একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল তাঁদের জন্য। এই নারকীয় ঘটনা যে সময়ের বলে মনে করা হচ্ছে, অদ্যাপকদের দাবি ওই সময়কালে ব্রিটেনে এই ধরনের কোনও নৃশংসতার হদিশ পাওয়া যায়নি।
