আজকাল ওয়েবডেস্ক: আমস্টারডামের বিখ্যাত রেইকস মিউজিয়ামে এবার দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ চমক। প্রায় ২০০ বছর আগের, একেবারে অক্ষত অবস্থায় থাকা একটি কন্ডোম জায়গা করে নিয়েছে নেদারল্যান্ডসের এই জাতীয় জাদুঘরের শিল্পসংগ্রহে। জানা যাচ্ছে, এটি তৈরি করা হয়েছিল ভেড়ার অ্যাপেনডিক্স থেকে। শুধু তাই নয়, এতে আঁকা রয়েছে বিশেষ এক ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে এক সন্ন্যাসিনী এবং তিনজন ধর্মযাজককে।

কন্ডোমে লেখা রয়েছে ‘Voila mon choix’। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় (এটাই আমার পছন্দ)। রেইকস মিউজিয়ামের কিউরেটর জয়েস জেলেন জানান, কন্ডোমটি তারা একটি নিলামে প্রথম দেখার পরই হেসে ফেলেছিলেন। পরে ইউভি আলোয় পরীক্ষা করে তাঁরা ধারণা করেন, এটি সম্ভবত কখনও ব্যবহৃত হয়নি। ছবির সন্ন্যাসিনী ঠিক কাকে ইঙ্গিত করছেন তা যদিও স্পষ্ট নয়। হিসেব করে দেখা গিয়েছে, এই কন্ডোমটি ১৮৩০ সালের, এবং এটি এখন একটি বিশেষ প্রদর্শনীর অংশ, যার থিম—১৯ শতকের যৌনতা। এই বিশেষ প্রদর্শনীতে রয়েছে আরও বহু হাতে আঁকা ছবি, আলোকচিত্র ও অঙ্কন।

উল্লেখ্য, রবারের কন্ডোম আবিষ্কারের (১৮৩৯) আগ পর্যন্ত মানুষ লিনেন, পশুর চামড়া বা এমনকি কাছিমের খোলও ব্যবহার করত সঙ্গমের সময়। তবে এসব কন্ডোম খুব একটা কার্যকর ছিল না, না গর্ভধারণ রুখতে, না যৌনরোগ থেকে সুরক্ষায়। জেলেন বলেন, ১৮৩০ সালের দশকে কন্ডোমের ব্যবহার চার্চের দৃষ্টিভঙ্গিতে ছিল পাপ। এগুলো সাধারণত গোপনে বিক্রি হত পতিতালয় বা সেলুনে। যদিও কিছু বিলাসবহুল দোকানে ‘মাপমতো’ কন্ডোম পাওয়া যেত বলেও শোনা গিয়েছে। জাদুঘরের তরফে জানানো হয়েছে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে এই ঐতিহাসিক কন্ডোম ধারও দেওয়া হতে পারে। তবে এটি সংরক্ষণের জন্য বিশেষ সাবধানতা প্রয়োজন।