আজকাল ওয়েবডেস্ক: আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (IMF) পাকিস্তানের ঋণ কর্মসূচির পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের আগে ১১টি নতুন শর্ত আরোপ করেছে। পাশাপাশি, ভারত-পাকিস্তান মধ্যে সম্প্রতি বেড়ে যাওয়া উত্তেজনা কর্মসূচির আর্থিক, বৈদেশিক এবং সংস্কারগুলোকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থা।

নতুন শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে সংসদীয় অনুমোদনসহ ১৭.৬ ট্রিলিয়ন নতুন বাজেট পাশ, বিদ্যুৎ বিলের ওপর ঋণ পরিশোধ সংক্রান্ত সারচার্জ বাড়ানো, এবং পাঁচ বছরের কম পুরোনো ব্যবহৃত গাড়ি আমদানির অনুমতি দেওয়া।

প্রতিরক্ষা বাজেট ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ২.৪১৪ ট্রিলিয়ন টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১২% বেশি। সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার পর সরকার এই খাতে ১৮% বাড়তি ব্যয় করার ইঙ্গিত দিয়েছে।

নতুন শর্ত অনুযায়ী, প্রদেশগুলোকে কৃষি আয়ের ওপর কর আদায়ের জন্য কার্যকর প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে, এবং একটি শাসন সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া ২০২৮ সালের পর আর্থিক খাতের কৌশল নির্ধারণে একটি পরিকল্পনাও প্রকাশ করতে হবে।

জ্বালানি খাতে চারটি বড় শর্ত রয়েছে—বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ট্যারিফ যথাক্রমে জুলাই ২০২৫ ও ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে, শিল্প খাতে ক্যাপটিভ পাওয়ার লেভির ওপর আইন সংসদে পাস করতে হবে, এবং বিদ্যুৎ বিলের ওপর সর্বোচ্চ সারচার্জ সীমা তুলে দিতে হবে।

এছাড়া, বিশেষ প্রযুক্তি অঞ্চল ও শিল্প পার্কে দেওয়া কর সুবিধা ২০৩৫ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একটি উপভোক্তা বান্ধব শর্ত অনুযায়ী, তিন বছরের বেশি পুরোনো নয় এমন ব্যবহৃত গাড়ির আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য সংসদে প্রস্তাব পেশ করতে হবে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে।

এই সব শর্ত মিলিয়ে মোট শর্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫০টি।