আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওড়িশার কোরাপুট জেলায় দুধুমা জলপ্রপাতে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। জানা গিয়েছে, ওই জলপ্রপাতে ঘুরতে এসে ঝর্নার প্রবল স্রোতে ভেসে যান বেহরামপুরের ২২ বছরের ইউটিউবার সাগর টুডু। শনিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। এখনও তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগর টুডু তাঁর বন্ধু কটকের অভিজিৎ বেহেরার সঙ্গে কোরাপুট এসেছিলেন বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের ভিডিও করার জন্য। শনিবার দুপুরে দুধুমা তিনি জলপ্রপাতের কাছে ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে রিল শ্যুট করছিলেন। সেই সময় হঠাৎই ঘটে যায় বিপত্তি। এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জলপ্রপাতের মাঝে এক পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন সাগর। তাঁকে দড়ি দিয়ে টেনে আনার চেষ্টা করেন স্থানীয়রা ও পর্যটকরা।
কিন্তু প্রবল স্রোতের কারণে ব্যর্থ হন সকলে। মুহূর্তের মধ্যে ভেসে যান ওই যুবক। জানা গিয়েছে, লাগাতার বৃষ্টির জেরে মাছকুন্ড বাঁধ থেকে প্রায় ২,০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল। ফলে হঠাৎই জলে স্রোত বেড়ে যায় এবং মাঝপথে এক পাথরে আটকে পড়েন সাগর। সেই সময়ই ঘটে দুর্ঘটনা। ঘটনার খবর পেয়ে মাছকুন্ড থানার পুলিশ ও দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ইতিমধ্যেই ওড়িশা ডিজাস্টার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (ODRAF) ও ফায়ার সার্ভিসের দল উদ্ধারকাজে নেমেছে। কোরাপুটের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ‘যুবকটি বেহরামপুরের বাসিন্দা। তিনি ভ্রমণে এসে দুধুমা জলপ্রপাতে দুর্ঘটনার শিকার হন।
পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে’। রবিবার বিকেল পর্যন্তও নিখোঁজ রয়েছেন সাগর টুডু। পরিবার ও বন্ধুদের দাবি, দ্রুত উদ্ধার করা হোক তরুণ ইউটিউবারকে। এর আগে সম্বলপুর জেলার জুজুমুরা এলাকার দেওঝরণ জলপ্রপাতে এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল। খবর অনুযায়ী, সেখানে ভিএসএস ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চের ছয়জন ফাইনাল ইয়ার এমবিবিএস ছাত্রছাত্রী ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সেখানেই দু’জন ছাত্রছাত্রী জলে ডুবে মারা যান। পুলিশ জানায় মৃতদের নাম মনিকা মীনা এবং সন্দীপ পুরী।
এর মধ্যে মনিকা ছিলেন রাজস্থানের বাসিন্দা এবং সন্দীপ এসেছিলেন দিল্লি থেকে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা জলপ্রপাতের উপর দিকে উঠে যান। এমনকি, ঝর্নায় স্নানও করতে নামেন তাঁরা। স্নানের সময় হঠাৎ পা পিছলে দু’জন গভীর জলে পড়ে যান। তাঁদের কেউই সাঁতার জানতেন না বলে জানান তাঁদের সহযাত্রীরা। ঘটনার জেরে মনিকা মাথায় গুরুতর আঘাত পান এবং দু’জনেই স্রোতের টানে ভেসে যান। স্থানীয় পর্যটক ও তাঁদের সঙ্গী ছাত্ররা দ্রুত পুলিশ ও অগ্নিনির্বাপক বাহিনীকে খবর দেন। খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে।
