আজকাল ওয়েবডেস্ক: এ যেন সিনেমা। নাম অন্য। কিন্তু অন্য নামে পরিচিতি। অন্যের নাম নিয়ে বেঁচে থাকা। সেই নামে পরীক্ষা, সেই নামেই সরকারি হাসপাতালে চাকরি। চিকিৎসা। এক মৃত্যুতে মুখশ খুলে গেল যুবকের। বেরিয়ে এল সব কুকীর্তি।

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, অন্যের নামে বেঁচে থাকা যুবকের আসল নাম সত্যেন্দ্র। কিন্তু এতদিন পরিচিত ছিলেন বন্ধুর নামে, ব্রিজরাজ বলে সকলে চিনতেন তাঁকে। একসঙ্গেই স্কুলে পড়তেন। কাটনির সেই বন্ধুর মার্কশিট চুরি করে নিয়েছিলেন সুযোগ বুঝে। তারপর ওই মার্কশিট দিয়ে উপজাতি কোটায় এমবিবিএস পরীক্ষায় বসা এবং কোটায় সুযোগ পাওয়া। সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে বহাল তবিয়তে চাকরি করা।

এসবকিছু সামনে এসছে একটি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। মধ্যপ্রদেশের মার্বেল সিটি হাসপাতাল। রেলের এক কর্মী তাঁর মা-কে ভর্তি করিয়েছিলেন ওই হাসপাতালে। চিকিৎসা করেছিল ওই যুবক। আধিকারিকের মায়ের মৃত্যুর ঘটনার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বেশকিছু ঘটনায় খটকা লাগে রেলের কর্মীর। চিকিৎসকের অতীত পরিচয়ের খোঁজ শুরু করেন। 

তারপরেই সামনে আসে তথ্য, দিনের পর দিন নিজেকে ব্রিজরাজ উইকে হিসেবে পরিচয় দেওয়া যুবক আসলে সত্যেন্দ্র নিষাদ। জব্বলপুরের প্রধান চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (সিএমএইচও) ডাঃ সঞ্জয় মিশ্র বলেন, "প্রতিটি রেজিস্টার্ড হাসপাতালের বৈধ চিকিৎসকের শংসাপত্র জমা দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে, দ্বাদশ শ্রেণির মার্কশিট থেকে জালিয়াতি পাওয়া গেছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এমসিআই থেকে সার্টিফিকেট যাচাই করি। কিন্তু যদি সেই নথিগুলি শুরু থেকেই জাল হয়, তাহলে জালিয়াতি সনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। এখন পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া অপরিহার্য।" ওই যুবকের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় ওমতি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।