আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুসলিম মহিলাদের দুর্গে নমাজ পড়ার একটি ভাইরাল ভিডিও প্রকাশের পর বিজেপি সাংসদ মেধা কুলকার্নির নেতৃত্বে হিন্দু সংগঠনের একটি দল ঐতিহাসিক শনিওয়ার ওয়াড়ায় "শুদ্ধিকরণ অনুষ্ঠান" করেছে। যাকে কেন্দ্র করে পুনেতে রাজনৈতিক বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে।
একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গিয়েছে যে, হিন্দু সংগঠনের নেতারা 'গোমূত্র' দিয়ে নমাজ পড়ার স্থানটি পরিষ্কার করছেন এবং শিববন্দনা করে 'শুদ্ধিকরণ' করছেন।
शनिवार वाड्यात नमाज पठण चालणार नाही, हिंदू समाज आता जागृत झाला आहे ! ????????
— Dr. Medha Kulkarni (@Medha_kulkarni)
????चलो शनिवार वाडा! ????
रविवार, 19 ऑक्टोबर 2025
???? शनिवार वाडा, कसबा पोलीस चौकीसमोर
???? सायंकाळी 4 वाजता
---
???? पुण्याचे वैभव – शनिवार वाडा
ऐतिहासिक वारसा स्थळ की गैर हिंदू प्रार्थना स्थळ?
सारसबाग येथे… pic.twitter.com/EObcXMZ6RtTweet by @Medha_kulkarni
কুলকার্নির মতে, মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতীক পুনে দুর্গে নমাজ পাঠের ঘটনাটি "প্রত্যেক পুনেকারের (পুনেবাসী) জন্য উদ্বেগ এবং ক্ষোভের বিষয়"। তিনি বলেন, "এটা দুর্ভাগ্যজনক। শনিওয়ার ওয়াড়া নমাজ পড়ার জায়গা নয়। আমরা প্রশাসনকে এই কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা শনিওয়ারওয়াড়ায় শিববন্দনা করেছি এবং জায়গাটি পবিত্র করেছি। আমরা গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেছি কিন্তু প্রশাসনিক কর্মকর্তারা তাতে আমাদের বাধা দিয়েছেন। এই লোকেরা যে কোনও জায়গায় নমাজ পড়ে এবং তারপর তা ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করে। হিন্দু সম্প্রদায় সতর্ক রয়েছে।"
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নীতেশ রানেও দুর্গে নমাজ পড়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, "শনিওয়ারওয়াড়ার একটি ইতিহাস রয়েছে। এটি সাহসিকতার প্রতীক। শনিওয়ারওয়াড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের মনের মণিকোঠায় রয়েছে। যদি হিন্দুরা হাজি আলিতে হনুমান চালিশা পাঠ করে, তাহলে কি মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত লাগবে না? মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ুন। যদি হাজি আলিতে হনুমান চালিশা এবং আরতি করা হয়, তাহলে এই লোকদেরও বিরক্ত করা উচিত নয়।"
বিজেপি সাংসদের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিরোধী নেতারা। অজিত পাওয়ারের এনসিপি মুখপাত্র রূপালি পাতিল থম্ব্রে বলেছেন, "সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উস্কে দেওয়ার" চেষ্টা করার জন্য পুলিশকে এইসব হিন্দু সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হবে। তাঁর কথায়, "পুনেতে হিন্দু বনাম মুসলিমের প্রসঙ্গ উস্কে দেওয়া হচ্ছে,তবে উভয় সম্প্রদায়ই এই শহরে সম্প্রীতি বজায় রেখে একসহ্গে বাস করেন।"
এআইএমআইএম মুখপাত্র ওয়ারিস পাঠান, বিজেপিকে ভারতের "ধর্মনিরপেক্ষতা এবং বহুত্ববাদ ধ্বংস" করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। তাঁর কথায়, "বিজেপি নেতারা কেবল ঘৃণা ছড়াচ্ছে। যদি জুম্মার দিনে ৩-৪ জন মুসলিম মহিলা এক জায়গায় নামাজ পড়েন, তাহলে কী সমস্যা হয়েছিল? ট্রেনে বা বিমানবন্দরে হিন্দুরা যখন গরবা নাচ করে তখন আমরা কখনও আপত্তি করিনি।এএসআই-সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ সকলের জন্য। তিন মিনিটের নামাজ আপনাকে এত বিরক্ত করছে? কিন্তু সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদে ধর্মের স্বাধীনতার অধিকার দেওয়া হয়েছে। তাহলে, আপনারাই দেখুন কতটা ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে? আপনার ঘৃণা পোষণকারী মনকে পবিত্র করা উচিত।"
পুলিশের বক্তব্য:
ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষা (এএসাআই) কর্মকর্তার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্গে নমাজ পড়া অজ্ঞাতপরিচয় মহিলাদের একটি দলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ দুর্গে নিরাপত্তাও বাড়িয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, "শনিওয়ার ওয়াড়ায় এএসআই-সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভের ভেতরে ধর্মীয় প্রার্থনা করা হয়েছিল। যে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হোক না কেন, এএসআই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। এটি একটি এএসআই-সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ। আমরা এএসআই-এর প্রয়োজনীয়তা অনুসারে কাজ করব। আমরা অবশ্যই নিরাপত্তা প্রদান করব, নিরাপত্তায় কোনও ত্রুটি থাকবে না। আমরা এএসআই-এর কোনও রেলিং বা কম্পাউন্ডের ভিতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেইনি। আমরা সর্বদা এই অবস্থান বজায় রাখব। এএসআই-এর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নেব।"
