আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১২০০ কিমি পথ। কাউকে না জানিয়ে, চুপিচুপিই এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন তরুণী। বাড়ির কাউকে না জানিয়ে, ভিন রাজ্যে পৌঁছেই সোজা চলে যান প্রেমিকের বাড়িতে। তারপরেই জীবনের অন্যতম বড় পদক্ষেপ করলেন। যা ঘিরে রীতিমতো হতবাক তরুণীর পরিবার। কী করলেন তিনি? 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, তরুণী দিল্লিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। মাত্র চারমাস আগে প্রতিবেশী বান্ধবীর দাদার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। কিছুদিন কথা বলার পরেই প্রেমে পড়েন। তখন থেকেই দু'জনে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হন। এদিকে এই সম্পর্কে আপত্তি ছিল পরিবারের। 

তরুণীর পরিবার তাঁর অন্যত্র বিয়ের তোড়জোড় শুরু করে। বিয়ের প্রস্তুতিও কিছুদিনের মধ্যে শুরু হয়ে যায়। তখনই দিল্লি থেকে পালিয়ে বিহারের জামুইয়ে চলে আসেন তরুণী। জামুইয়ে পৌঁছেই প্রেমিকের বাড়িতে চলে যান। তখনই প্রেমিককে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। দু'জনেই বিয়েতে মত ছিল পাত্রের পরিবারের। তাঁদের এই সিদ্ধান্তে কোনও আপত্তি জানাননি তাঁরা। 

জামুইয়ের এক শিবমন্দিরে প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তরুণী। মাত্র চারমাসের প্রেম পরিণতি পাওয়ায় বেজায় খুশি তাঁরা। তরুণীর এই কাণ্ডে জোর চর্চা গ্রামে। বহু মানুষ তাঁর সাহসের প্রশংসা করেছেন।