আজকাল ওয়েবডেস্ক: এ যেন রাস্তায় চলাফেরা দায়। গত মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরে এক মহিলার হিজাব খুলে দেওয়া হয়েছে। এবং তাঁর সঙ্গে থাকা এক হিন্দু পুরুষ সঙ্গীকেও একদল লোক লাঞ্ছনা করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যা থেকে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। 

ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন পুরুষ জোর করে মহিলার হিজাব খুলে ফেলছে। অন্যরা তাঁকে এবং তাঁর সাথে থাকা পুরুষকে গালিগালাজ, হয়রানি এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছনা করছে।

মুজাফফরনগরের খালাপার এলাকার একটি সরু গলিতে এই ঘটনাটি ঘটে। সেদিন ২০ বছর বয়সী ফারহিন এবং শচীন নামে এক ব্যক্তি ঋণের কিস্তি তুলতে যাচ্ছিলেন। খালাপারের বাসিন্দা এবং উৎকর্ষ স্মল ফাইন্যান্স লিমিটেডের কর্মচারী ফারহিন, তাঁর মায়ের নির্দেশে শচীনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। পথে, ৮-১০ জন পুরুষের একটি দল তাঁদের ঘিরে ধরে। এরপরই ফারহিন ও শচীনকে লাঞ্ছনা এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। 

পুরো ঘটনাটি একজন পথচারী মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে এবং পরে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়। যা তাৎক্ষণিকভাবে আম আদমির দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

?ref_src=twsrc%5Etfw">April 14, 2025

 

খবর পাওয়ার পর, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে এবং দু'জনকে নিরাপদে থানায় নিয়ে যায়। ফারহিনের অভিযোগ দায়েরের পর ভারতীয় ন্যায় সংহিতার প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

মুজাফফরনগর সিটি সার্কেল অফিসার (সিও) রাজু কুমার সাও বলেছেন, "১২ এপ্রিল, আনুমানিক চারটে থেকে সাড়ে চারটের মধ্যে, ভবন এলাকার একজন হিন্দু পুরুষ এবং খালাপারের একজন মুসলিম মহিলা, উভয়ই উৎকর্ষ স্মল ফাইন্যান্স ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত, ঋণের কিস্তি আদায় করে সুজদু থেকে ফিরছিলেন। দরজি ওয়ালি গলিতে স্থানীয় কিছু লোক তাদের থামিয়ে মারধর করে।" 

মহিলা অভিযোগ দায়ের করার পর, পুলিশ ছয় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। পরে, সমস্ত অভিযুক্তকে থানায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় এবং পুলিশ তাদের সুরক্ষা দেয় বলে অভিযোগ। তবে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা সন্দেহ করছেন যে পুরোটাই 'নাটকয' ছিল। সিও রাজু কুমার সাও বলেন, "ভিডিও থেকে আরও লোককে শনাক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে, তারপরই গ্রেপ্তার করা হবে। কঠোর আইনি পদক্ষেপ করা হবে।"