আজকাল ওয়েবডেস্কঃ কুশিনগর জেলার খাড্ডা এলাকায় ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা। পঁচিশ বছর বয়সী এক মহিলা এবং তাঁর নবজাতক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত এক ডাক্তার। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় সহ দেশবাসী মর্মাহত৷
সংবাদমাধ্যম মারফত জানা গেছে, মহিলার নাম আসমা খাতুন। স্বামী সিকন্দর৷ খাড্ডা শহরের খাড্ডা-নেবুয়া সড়কের মহারাণা প্রতাপ চকে অবস্থিত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আসমা। হঠাৎই আসমা খাতুন (২৫) এবং তাঁর নবজাতক শিশুটি মারা যায়। পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে বিক্ষোভ করেন। মৃতদেহগুলি গেটের বাইরে রেখে দেন তাঁরা ।
খবর পেয়ে পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়।
হাসপাতালটি সিল করে দেওয়া হয়েছে৷ অভিযুক্ত ডাক্তারকেও গ্রেপ্তার করা হয়। কারণ ওই হাসপাতাল অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। এমনটাই জানা গেছে৷ পুলিশের মতে, প্রসব বেদনা শুরুর পর আসমাকে হাসপাতালে আনা হয় শুক্রবার রাতে। সে হনুমানগঞ্জ থানা এলাকার রামপুর জঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গভীর রাতে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা জানান, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। মা ও শিশু উভয়েই সুস্থ। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসকরা টাকা দাবি করেছেন এবং জেলা হাসপাতাল থেকে রক্তের ব্যবস্থা করতে বলেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আসমার অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিবারকে গোরক্ষপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। পরিবারের অভিযোগ, ডাক্তার সৈয়দ নিজেকে হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। মা ও শিশু উভয়েই সুস্থ আছেন জানিয়ে মিথ্যা আশ্বাস দেন তিনি । পরিবারের সন্দেহ হলে ওই ডাক্তার গাড়িতে করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরিবারের সদস্যরা তক্ষুনি পুলিশকে খবর দেন এবং ডাক্তারকে আটক করে। তদন্তে জানা গেছে, হাসপাতালটি বেআইনি ভাবে চালানো হচ্ছিল। ওই ডাক্তারের বিরূদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷
