আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন মাত্র চার মাস আগে। তার মধ্যেই শ্বশুরবাড়িতে নির্মম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন ২৩ বছরের এক তরুণী। স্বামী, ননদের কটুক্তি, মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অবশেষে চরম পদক্ষেপ করলেন নববধূ। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন তিনি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মোরাবাদে। চরম পদক্ষেপের সময় একটি ভিডিও রেকর্ড করেন তরুণী। কাঁদতে কাঁদতে জানান, গর্ভপাতের জেরেই শ্বশুরবাড়িতে চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। তাঁর স্বামী বেঙ্গালুরুতে কাজ করেন। চার মাস আগে ভালবেসে বিয়ে করেন তাঁরা। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। কয়েক সপ্তাহ আগে তাঁর গর্ভপাত হয়। তারপরেই চরম অত্যাচার শুরু হয়।
তরুণী জানিয়েছেন, বারবার স্বামী বলতেন, 'তুমি মরে যেতে পারো না!'। গর্ভপাতের পর ঘরের আলো, পাখা নিভিয়ে দিতেন ননদ, শাশুড়ি। ইলেক্ট্রিসিটি বন্ধ করে দিনের পর দিন অন্ধকার ঘরে ফেলে রাখতেন তাঁকে। চিকিৎসার যা খরচ হয়েছে, তা সমস্ত ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন শ্বশুর ও ননদ। গর্ভপাতের জন্য বারবার তাঁকেই দায়ী করতেন সকলে। এই চরম পদক্ষেপের জন্য ননদ, শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামীকে দায়ী করেছেন তরুণী।
মৃতার বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, গতকাল রাতেই ফোন করে অত্যাচারের বিষয়টি জানিয়েছিলেন। বারবার তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। আজ সকালে আর সাড়াশব্দ না পাওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে সকলে হাজির হন। তাঁর ঘর থেকে নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর পুলিশে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তরুণীর বাবা। ঘটনার মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
