আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ বিধানসভা ভবনের ভিতরেই মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কর্ণাটকের বিজেপি বিধায়ক এন মুনিরত্না নাইডুর বিরুদ্ধে। ওই মহিলা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে বলেছেন, বিধানসভায় নিজের ঘরে এমনকী সরকারের তরফে দেওয়া গাড়ির মধ্যে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন বিজেপি বিধায়ক। 
কর্ণাটকের আর আর নগরের বিধায়ক মুনিরত্না ইতিমধ্যেই ধর্ষণ ও হানি ট্রাপের মামলায় অভিযুক্ত হয়ে জেল হেফাজতে রয়েছেন। বিশেষ তদন্তকারী দল (‌সিট)‌ তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। যদিও যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন বিজেপি বিধায়ক। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস বিধায়করা ঘটনার প্রতিবাদে কর্ণাটক বিধানসভা ভবনে গেটের সামনে ও ভিতরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। শুদ্ধিকরণ কর্মসূচী চালানো হয়েছে। এই কর্মসূচীর নেতৃত্বে ছিলেন কংগ্রেস নেতা মনোহর। পুলিশ তাঁকে আটক করেছে। কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, ‘‌নির্যাতিতাকে নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছিল। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। কিন্তু বিধানসভা শুদ্ধিকরণ কর্মসূচীর জন্য আমাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হল। এই ঘটনার প্রতিবাদ বিজেপিও করেছে। কিন্তু আমাদের শুদ্ধিকরণ কর্মসূচী করতে দেওয়া হল না।’‌ 


ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের কথা আগেই জানিয়েছে কর্ণাটক সরকার। ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করা হয়েছে। এক কন্ট্রাক্টরকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মুনিরত্নাকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর সমাজসেবী ওই মহিলা মুনিরত্নার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো মারাত্মক অভিযোগ আনেন। পুলিশের কাছে অভিযোগে ওই মহিলা জানান, বিজেপি বিধায়ক এক গোপন ডেরায় নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। গোটা ঘটনাটি রেকর্ড করেও রাখা হয়। এরপর ওই মহিলাকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। মহিলার আরও অভিযোগ, তাঁকে হানিট্রাপের ফাঁদে ফেলে দিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক। একাধিক রিসর্টে জোর করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হত। এই জঘন্য কাজে বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তার নিরাপত্তারক্ষী সহ অন্তত ছয় জন।