আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড। তিন সন্তানকে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল গৃহবধূর। তার আগেই নৃশংসভাবে খুন করল স্বামীকে। খাবারে বিষ মিশিয়ে, গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে খুন করা হল তাঁকে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের ভদোদরায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার ২৫ বছর বয়সি এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর পাঁচ দিন আগে বাড়িতেই স্বামীকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। শহরের তান্ডালজা এলাকায় খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। ধৃত তরুণীর নাম, গুলবানু বানজারা।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, এর আগে গুলবানু জানিয়েছিলেন তার স্বামী ৩২ বছরের ইরশাদ বানজারা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। কিন্তু দেহটি কবর দেওয়ার পরেই গুলবানুর আচরণ দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের। স্বামীর দেহ কবর দেওয়ার দিন সারাদিন ফোনে ব্যস্ত ছিল তরুণী। এরপর ফোন রেকর্ড খতিয়ে দেখার পর জানা গেছে, অচেনা এক নম্বরে ফোন করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলছিল সে।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার গুলবানুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রেমিক ও আরও এক সহযোগী বর্তমানে পলাতক। খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ১৮ নভেম্বর। সেদিন ইরশাদের খাবারে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে দিয়েছিল সে। খাবার খাওয়ার পরেই অচৈতন্য অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। সেদিন গভীর রাতে বাড়িতে চুপিচুপি ঢুকে গুলবানুর প্রেমিক ও এক সহযোগী ইরশাদের গলা টিপে খুন করার চেষ্টা করে। এরপর গুলবানুর ওড়না গলায় পেঁচিয়ে তাঁকে খুন করা হয়।
পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের হতেই সোমবার ইরশাদের দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, ছ'বছর আগে ইরশাদ ও গুলবানুর বিয়ে হয়। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে। দীর্ঘ জেরায় গুলবানু জানিয়েছিল, গত কয়েক বছর ধরে তৌসিফ নামের ওই যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে। তাদের পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তার আগে পরিকল্পনামাফিক ইরশাদকে খুন করে।
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে এমন এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী ছিল বেঙ্গালুরু। হাতে ছিল স্ত্রীর কাটা মুণ্ডু। দরদর করে ঘামছে যুবক। কাঁপতে কাঁপতে হাজির থানায়। যুবকের এই দশা দেখে শিউরে ওঠে খোদ পুলিশ। অবশেষে পুলিশের সামনেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করল যুবক। যা শুনেই চমকে ওঠেন সকলে। বর্তমানে পুলিশের জালে সে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। আনেকাল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ২৬ বছরের মনসা। কয়েক বছর আগে শঙ্করের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। খুদে কন্যাসন্তান রয়েছে তাঁদের। মনসা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত রয়েছে, তেমনটাই সন্দেহ করত শঙ্কর। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে পারিবারিক অশান্তির জেরেই মনসাকে খুন করে সে। তারপর কাটা মুণ্ডু নিয়ে থানায় যায়।
শঙ্কর পুলিশকে জানিয়েছে, ৩ জুন কাজের অজুহাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। মনসাকে জানিয়েছিল, পরেরদিন সকালে ফিরবে। কিন্তু সেদিন রাতেই বাড়ি ফিরে আসে। মনসা বাড়িতে অন্য কারও সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে কিনা, তা দেখতেই বাড়ি ফিরেছিল। সেদিনেই দু'জনের তুমুল অশান্তি হয়। এরপর বাড়ি ছেড়ে চলে যান মনসা।
শুক্রবার আবার বাড়ি ফিরে আসেন মনসা। হেনস্থা করার জন্য শঙ্করকে ব্যাপক কটুক্তি করেন। তখনই আবারও ঝগড়া, ঝামেলা হয় তাঁদের। গতকাল রাতে মনসাকে মারতে মারতে খুন করে শঙ্কর। এরপর মুণ্ডু কেটে, সেটি নিয়ে থানায় পৌঁছয়। স্ত্রীকে সহ্য করতে না পেরেই যে খুন করেছে, তাও জানায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। শঙ্করকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। ঘটনার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
