আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিহারের ভাগলপুর জেলার এক গ্রামে স্ত্রীর লাথির আঘাতে স্বামী নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক কলহের জেরে ঘটা এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রীকে রবিবার গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম শামসুল আনসারি (২৬)। তিনি ভাগলপুর জেলার নাথনগর থানার অন্তর্গত কাঞ্চনপুর গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত স্ত্রী রুখসানা খাতুন (২০) পাশের শাহপুর গ্রামের মেয়ে।

স্থানীয়দের বর্ণনায় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে শামসুল ও রুখসানার বিয়ে হয়। তাঁদের দাম্পত্য জীবন শান্তিপূর্ণ ছিল না। প্রায়ই ছোটখাটো ঝগড়া হতো। তাঁদের ঘরে আছিয়া নামে ১৫ মাসের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। গত ১৮ জুন রাতে শামসুল স্ত্রী ও সন্তানকে দেখতে শ্বশুরবাড়ি যান। সেদিন রাতে তাঁদের মধ্যে ফের বচসা বাঁধে। পুলিশ জানিয়েছে, তুমুল বিবাদের একপর্যায়ে রুখসানা স্বামীর অণ্ডকোষে সজোরে লাথি মারেন। ঘটনাস্থলেই শামসুল অচেতন হয়ে পড়েন এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়।

পরদিন সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভাগলপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। নাথনগর থানার ওসি রাজীব রঞ্জন বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত রুখসানা খাতুন স্বামীর মৃত্যুতে নিজের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, শামসুল নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এসে তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করছিলেন, আত্মরক্ষার চেষ্টাতেই এই ঘটনা ঘটেছে।”

রুখসানা খাতুনের আবেদনের ভিত্তিতে তাঁর সঙ্গে আদালতে পাঠানো হয়েছে তাঁদের ১৫ মাসের দুগ্ধপোষ্য শিশুকন্যাকেও। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির উপযুক্ত ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।