আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরকীয়ার বা বিবাহিত মহিলার দিকে একবার চোখ গেলেই মন বোলাতে চায় কল্পনার চাদর—এই দৃশ্য বহু ছেলেদের জীবনের এক গোপন অধ্যায়। বয়সে বড়, অভিজ্ঞ, ঘরোয়া অথচ মোহময়ী—এই অনন্য মিশ্রণই যেন তরুণ মনকে করে তোলে বাউন্ডুলে! কিন্তু বিজ্ঞান কী বলছে?

বউদিরা সাধারণত বয়সে বড় এবং সংসারজীবনের অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ। তাঁদের শরীরী ভাষা, চোখের চাহনি, কথা বলার ধরণ—সব কিছুতেই থাকে একধরনের স্থিরতা আর আত্মবিশ্বাস। এটা অনেক তরুণের কাছে অপূরণীয় নারীসত্তার প্রতীক। অবিবাহিত, অনভিজ্ঞ মেয়েদের তুলনায় বউদিরা অধিক “অ্যাসার্টিভ” বা দৃষ্টিনন্দন। হরমোনাল ভারসাম্য, মা হওয়ার পর শরীরের গঠনেও অনেকসময় আকর্ষণ তৈরি হয়, যা পুরুষের দৃষ্টি এড়ায় না।

মনোবিদরা বলছেন, এই আকর্ষণের পেছনে রয়েছে “Forbidden Desire” বা নিষিদ্ধ আকাঙ্ক্ষার ভূমিকা। বউদি হলেন সমাজ-অনুমোদিতভাবে অগ্রহণযোগ্য এক কামনার উৎস। আর তাই তাঁর প্রতি টান আরও তীব্র। ঠিক যেন হাতের নাগালে থেকেও ধরতে না পারার রোমাঞ্চ!

এটা একতরফা নয়। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বউদিরাও অনেক সময় অল্পবয়সী ছেলেদের প্রতি দুর্বলতা অনুভব করেন। সংসারিক একঘেয়েমি, দাম্পত্যে সংবেদনশীলতার অভাব, বা সঙ্গীর মনোযোগের অভাবে তরুণ ছেলেদের থেকে পাওয়া সহজ প্রশংসা বা উষ্ণ নজর তাদের মন ছুঁয়ে যায়।

আধুনিক জীবনে বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ছে, সম্পর্কের জটিলতাও তেমনি। ফলে তরুণরা অনেক সময় এমন সম্পর্ক খোঁজে যেখানে থাকবে না কোনও বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড স্টাইলের নাটক, না থাকবে দায়বদ্ধতার চাহিদা। বউদি হয়ে ওঠেন একরকম “Emotional Safe Space”—একদিকে পরিণত, অন্যদিকে অল্প স্পর্শেই আবেগঘন!