আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের সংসদকে বলা হয় 'গণতন্ত্রের মন্দির'। এটা এমন একটি জায়গা যেখানে দেশ এবং দেশের জনগণের ভবিষ্যৎ গড়ে ওঠে। মজার বিষয় হল, অনেক চলচ্চিত্র তারকাও সংসদ সদস্য। যদিও তাঁরা তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে সাধারণ পোশাক পরেন, তবে সংসদের ভেতরে তাঁদের সর্বদা ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরতে দেখা যায়। দল-মত, আদর্শ, ভাষা, জাতিগত ভিন্নতা থাকলেও ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরায় অবশ্য মিল রয়েছে সাংসদদের।
সংসদের মহিলা সদস্যরা সাধারণত শাড়ি বা সালোয়ার স্যুট পরেন, পুরুষদের কুর্তা-পায়জামা, ধুতি বা আনুষ্ঠানিক ভারতীয় স্যুট পরে অধিবেশনে দেখা যায়। আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন- কেন তাঁরা এইসব পোশাক পরেন? সংসদে কি কোনও পোশাকবিধি আছে?
মহিলা রাজনীতিবিদদের প্রিয় পোশাক শাড়ি:
ভারতীয় সংস্কৃতিতে শাড়িকে সবচেয়ে সুন্দর এবং মার্জিত পোশাকগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি কেবল একটি কাপড়ের টুকরো নয়; এটি ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে। সারা বিশ্বে, মানুষ ভারতীয় শাড়ির প্রশংসা করে। সংসদেও, অনেক মহিলা সাংসদের প্রথম পছন্দ হল শাড়ি।
কঙ্গনা রানাউত হোক বা মহুয়া মৈত্র, তাঁদের প্রায়শই অসাধারণ শাড়ি পরতে দেখা যায় যা ভারতীয় সংস্কৃতির সৌন্দর্য্য এবং সৌন্দর্য্যের প্রতিফলন ঘটায়।
সংসদে কি কোন পোশাকবিধি আছে?
কেউ কেউ হয়তো জিজ্ঞাসা করতে পারেন যে, সংসদে কি কোন পোশাকবিধি আছে? এর সহজ উত্তর হল- না। সংসদ সদস্যদের কী পরতে হবে তা নিয়ে কোনও লিখিত নিয়ম নেই। কিন্তু তবুও, বেশিরভাগ সদস্যই একটি অলিখিত ঐতিহ্য অনুসরণ করেন। তাঁরা সাধারণত ভারতীয় পোশাক পরেন।
সংসদ ভারতের সংস্কৃতি এবং গণতন্ত্রের প্রতীক। ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাক পরিধান করে, সংসদ সদস্যরা দেশের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন এবং সংসদের মর্যাদা বজায় রাখতে সহায়তা করেন।
রাজনীতিতে ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নেপথ্যে গভীর অর্থ:
রাজনীতিবিদদের পরা পোশাকের প্রায়শই গভীর অর্থ থাকে। ধুতি-কুর্তা বা শাড়ির মতো পোশাক তাঁদের প্রতিনিধিত্বকারী মানুষের কাছাকাছি অনুভব করতে সাহায্য করে। এই ঐতিহ্যবাহী পোশাকগুলি তাঁদের সংস্কৃতি এবং সম্প্রদায়ের সঙ্গে আরও গভীরভাবে যুক্ত বলে তুলে ধরে।
অনেক নেতার কাছে, এই ধরণের পোশাক তাঁদের শিকড়, মূল্যবোধ এবং ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করে।
যদিও সংসদে কোন কঠোর পোশাকবিধি নেই, তবুও বেশিরভাগ রাজনীতিবিদ এখনও ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাক পরতে পছন্দ করেন। তাঁরা এটা কেবল অভ্যাসের কারণেই করে না, বরং ভারতের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্যই করে থাকেন।
আরও পড়ুন- আগস্ট যেন ছুটির মাস, দেখে নিন কতদিন বন্ধ থাকবে স্কুল-ব্যাঙ্ক
