আজকাল ওয়েবডেস্ক: সকলেই ভালবাসা চেয়ে থাকেন। সেখানে বয়স কোনও বাধা মানে না। এটা ম্যাজিকের মতো এক অনুভূতি। তবে ভারতের মাটিতে একজন ডিভোর্স  মহিলার কাছে ফের নতুন করে ডেট করা কতটা কঠিন। এবিষয়ে একটি সমীক্ষা করেছে কসমো ইন্ডিয়া সার্ভে।

 


এই সার্ভে থেকে দেখা গিয়েছে ২৫ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে পুরুষ এবং মহিলাদের মন আনচান করে ওঠে। তারা বিবাহিত হওয়ার পরও ফের নতুন করে প্রেমে পড়তে চান। ফলে সেই সময় থেকে তারা নতুন সম্পর্কে অতি দ্রুত জড়িয়ে পড়ে। পুরনো সম্পর্কের প্রতি তারা তখন অনেকটাই উদাসীন হয়ে পড়ে।


এটা ২০২৫ সাল। এই সময়ে ডিভোর্স হওয়া খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সেখানে নতুন করে ফের জীবন অনেকেই শুরু করেন। আবার অনেকে বাকি জীবনটা একাই থেকে যান। তবে সমীক্ষা থেকে হাতে এসেছে অন্য একটি তথ্য। সেখানে দেখা গিয়েছে ডিভোর্স হওয়া পুরুষরা যতটা স্বাধীনভাবে ফের অন্য সম্পর্ক তৈরি করতে পারেন সেখানে ডিভোর্স হওয়া মহিলারা ততটা স্বাধীনতা পান না। এই বিষয়ে ৩৮ শতাংশ মানুষ একমত হয়েছেন। যদি সেই মহিলা সিঙ্গল মাদার হয়ে থাকেন তাহলে তার পক্ষে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে যায়।


এখনকার আধুনিক যুগে বহু মহিলাই যদি বিবাহিত জীবনে সুখী না হয়ে থাকেন তাহলে তারা সহজেই ডিভোর্সের পথ বেছে নেন। এটা চাকরি করা মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে। তারা স্বাধীনভাবে নিজের খরচ নিজে চালাতে পারে বলে তারা অতি দ্রুত এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। তবে বাকিরা সেখানে অনেকটাই ব্যাকফুটে থাকে।

 


বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সমাজ এখনও ডিভোর্স হওয়া মহিলাকে অতি সহজে মেনে নিতে পারেনা। সেখানে মহিলার উপরেই বেশি দোষারোপ করা হয়ে থাকে। তার স্বামীটি তখন হয়ে যায় সাধুপুরুষ। একেবারে যেন ধোয়া তুলসিপাতা। যদি স্বামী তার স্ত্রীকে প্রতারণা করে অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রাখে তারপরও সেই মহিলাকেই সকলে দোষী বলে মনে করেন। সেখানে নিজের সন্তানের কথা ভেবে অনেক সময় সেই মহিলা নিজেকে গুটিয়ে রেখে দেন। অনেকে আবার সেই মহিলার খুঁত ধরতে শুরু করে দেন। তাই আজও ডিভোর্স হওয়া মহিলারা অনেকটাই অন্ধকারে থাকেন। সমাজ যেন তাদেরকে ব্রাত্য করেই রাখে।