আজকাল ওয়েবডেস্ক: আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় এক মহিলার ব্যর্থ গয়নার দোকান ডাকাতির প্রচেষ্টা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। দোকানের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে ঘটনাটির পুরো নাটকীয় দৃশ্য। সতর্ক ও সাহসী দোকানদার মুহূর্তের মধ্যেই ওই মহিলাকে ধরে ফেলেন এবং তার পরিকল্পনা সম্পূর্ণ ভেস্তে দেন।
ঘটনাটি ঘটে আহমেদাবাদের রানিপ অঞ্চলের একটি গয়নার দোকানে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই মহিলা মুখ আংশিকভাবে ওড়না দিয়ে ঢেকে দোকানে প্রবেশ করেন। তিনি প্রথমে সাধারণ ক্রেতার মতো আচরণ করে দোকানদারের সামনে বসে কিছু গয়না দেখতে চান। কিন্তু কয়েক মুহূর্ত পরেই হঠাৎই তিনি হাতে থাকা লাল লঙ্কার গুঁড়া দোকানদারের মুখের দিকে ছুড়ে দেন—তার উদ্দেশ্য ছিল দোকানদারকে বিভ্রান্ত করে গয়না লুট করা।
अहमदाबाद में एक महिला ने ज्वेलरी स्टोर मालिक की आँखों में लाल मिर्च डालकर लूटने की कोशिश की। आँख में मिर्ची जाने के बाद भी महिला–पुरुष समानता में विश्वास रखने वाले मालिक ने समानता निभाते हुए उस चोरनी को अत्यंत सेवाभाव से 18 थप्पड़ जड़े। अवश्य देखें। pic.twitter.com/2xAktqp9jY
— Indrajit (@Lotus_indrajit)Tweet by @Lotus_indrajit
কিন্তু পরিকল্পনাটি সফল হয়নি। দোকানদার চটজলদি সাড়া দেন। আক্রমণ এড়িয়ে গিয়ে মুহূর্তের মধ্যে মহিলাকে ধরে ফেলেন। ফুটেজে দেখা যায়, এরপর ক্ষোভে তিনি একের পর এক চড় মারতে শুরু করেন—মাত্র ২০ সেকেন্ডে প্রায় ১৭ বার থাপ্পড় মারেন ওই মহিলাকে। শেষে রাগের মাথায় তাকে দোকান থেকে ঠেলে বের করে দেন।
এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনরা দুইভাগে বিভক্ত—অনেকে দোকানদারের বুদ্ধিমত্তা ও সাহসের প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ কেউ বলেছেন, মহিলা অপরাধ করলেও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা উচিত হয়নি।
ঘটনার পর রানিপ থানার পুলিশ ওই মহিলার বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছে। সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে তার পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। পুলিশের প্রাথমিক তথ্যানুসারে, তিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান এবং এখনো ধরা পড়েননি।
এক পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি এবং দোকানদারের বয়ান নিয়েছি। অভিযুক্ত মহিলাকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তিনি একা এসেছিলেন এবং ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল।”
এদিকে দোকানদার জানিয়েছেন, “আমি বুঝতেই পারিনি যে সে ডাকাতি করতে এসেছে। হঠাৎই লঙ্কার গুঁড়া ছুড়ে দেয়। আমি চোখ বাঁচিয়ে তাকে ধরে ফেলি, তারপর রাগে এই কাজ করেছি।”
