আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঋতুস্রাবের কারণে নবরাত্রী অনুষ্ঠান পালন করতে না পেরে উত্তর প্রদেশের ঝাঁসিতে এক মহিলা আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। ৩৬ বছর বয়সী প্রিয়াংশা সোনি বিষ পান করার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীনই মারা যান যুবতী।
প্রিয়াংশা, স্বামী মুকেশ সোনি এবং তাঁদের দুই কন্যা, সাড়ে তিন বছর বয়সী জানভি এবং আড়াই বছরের মানভির সঙ্গে থাকতেন।
স্ত্রী হারা স্বামী মুকেশের কথায়, প্রিয়ংশা নবরাত্রির জন্য অধীর আগ্রহে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঈশ্বরের প্রতি তাঁর ছিল গভীর বিশ্বাস ও নিবেদিতপ্রাণ। নবরাত্রি পালন করবেন বলে প্রিয়াংশা অনেক দিন ধরেই খুব উত্তেজিত ছিলেন। কিন্তু, পুজোর প্রথম দিনেই তাঁর ঋতুস্রাব শুরু হয়। ফলে তিনি উপবাস করতে এবং পুজো করতে পারেননি। এতে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন প্রিয়াংশা। মুকেশ তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও, তিনি অসহায় ছিলেন।
মুকেশ বলেছেন, "আমার স্ত্রী বারবার বলতেন যে, তিনি মায়ের পুজো করবেন। তিনি আমাকে পুজোর সব জিনিসপত্র আনতে বলেছিলেন। আমি এনেও ছিলাম। কিন্তু প্রথম দিনেই ওঁর মাসিক শুরু হয়ে যায়। ফলে তিনি পুজো করতে পারেননি। এতেই সে মানসিক হতাশায় ভুগতে শুরু করে। আমি তাঁকে ব্যাখ্যা করেছিলাম যে, এটা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু সে তা মেনে নিতে পারেননি। তাঁর মনে হয়েছিল, সে যেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু হারিয়ে ফেলেছে।"
পরদিন মুকেশ যখন তাঁর দোকানে ছিলেন, তখনই প্রিয়াংশা বিষ পান করেন বলে দাবি করেছেন স্বামী মুকেশ। বিষয়টা জানতে পেরেই পরিবার প্রিয়াংশাকে নিয়ে দ্রুত ঝাঁসি মেডিকেল কলেজে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করে তোলেন।
এর পরে প্রিয়াংশা সোনিকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং বাড়িতে আনা হয়। তবে, বাড়িতে তাঁর স্বাস্থ্যের আবার অবনতি হলে পরিবার তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসার সময় প্রিয়াংশার মৃত্যু হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে কোতোয়ালি পুলিশ প্রিয়াংশার মৃতদেহটি দখল করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঝাঁসি শহরের পুলিশ আধিকারিক স্নেহা তিওয়ারি মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "কোতোয়ালি এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা বিষ পান করেছিলেন। তাঁর স্বামী তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন, কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি। পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে , আরও তদন্ত চলছে।"
