আজকাল ওয়েবডেস্ক: বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক। ক্লাস নিচ্ছিলেন অন্যান্য দিনের মতোই। শুরুতেও জানতেন না, কী ঘটতে চলেছে তাঁর সঙ্গে। কিছুক্ষণেই রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে গেল শ্রেণিকক্ষে। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায়, এই যাত্রায়  প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি।


হাড়হিম এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের উধম সিং নগরের গুরু নানক স্কুলে। গগনদীপ সিং কোহলি, ওই স্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। এই মুহূর্তে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, সপ্তাহের শুরুতে, ক্লাসে গোলমালের কারণে এক পড়ুয়াকে চড় মেরেছিলেন সকলের সামনেই। ওই ছাত্র বুধবার স্কুলে আসে। টিফিন বক্সে বন্দুক নিয়ে। শিক্ষককে পিঠে গুলি করে সে। তাঁকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যে চিকিৎসক দেখাভাল করছেন শিক্ষকের, তিনি জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গুলি বের করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষকের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। 

ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, ওই পড়ুয়ার নাম সমরথ বাজওয়া। বুধবার দুপুরে বিরতির পর, ক্লাস নিচ্ছিলেন ওই শিক্ষক। ক্লাস শেষ করে বেরিয়ে যাওয়ার সময়, পড়ুয়া শিক্ষকের পিঠ তাক করে গুলি চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সমরথ নিজের টিফিন বক্সে বন্দুক লুকিয়ে এনেছিল। ক্লাস শেষ করে শিক্ষক বেরনোর সময়, পিঠ তাক করে গুলি চালায় সে। তারপরে দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন ধরে ফেলেন অন্যান্য শিক্ষকরা।

আরও পড়ুন: মেট্রোর তিন রুটের উদ্বোধনে শুক্রে শহরে মোদি, তার আগে লিখলেন, 'কলকাতার মানুষের সঙ্গে থাকতে পারা...'

পুলিশ নাবালক ছাত্রের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করেছে।  তবে ওই পড়ুয়া কীভাবে হাতের কাছে বন্দুক পেল এবং তা টিফিন বক্সে ভরে স্কুলে নিয়ে গেল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করেছে। তদন্ত জারি রয়েছে, তেমনটাই জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

 

এর আগে, স্কুলের মধ্যেই সিনিয়রকে খুনের ঘটনা ঘটেছে আহমেদাবাদে। বুধের পর, বৃহস্পতিবারও দফায় দফায় উত্তাল হয়েছে পরিস্থিতি। ভাঙচুর, বিক্ষোভে অবরুদ্ধ এলাকা। এসবের মাঝেই সামনে এসেছে একটি চ্যাট। অর্থাৎ কথোপকথন। যদিও ভাইরাল হওয়া ওই কথোপকথন কাদের, আদেউ ওই পড়ুয়ার কি না তার সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন। তবে সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সিনিয়রকে খুনের পর অপর এক বন্ধুর সঙ্গে ওই পড়ুয়ার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ওই চ্যাট।

মূল ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে, স্কুলের ঘণ্টা বাজার পর, নয়ন তার ব্যাগ গুছিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। সে সেভেন্থ-ডে অ্যাডভেন্টিস্ট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন থেকে বেরিয়ে আসার আগেই অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র এবং আরও কয়েকজন ছেলে তাকে ঘিরে ফেলে। বাকবিতণ্ডা শীঘ্রই মারামারিতে পরিণত হয়। অষ্টম শ্রেণির ওই পড়ুয়া নয়নকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় ঘটনাতশল থেকে। 

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, নয়ন পেটে ছুরিকাঘাতের ক্ষত নিয়ে স্কুলে ফিরে যাচ্ছে। তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে শেষরক্ষা করা যায়নি। মৃত্যু হয়েছে তার। জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে নিহত ছাত্রের এক তুতো ভাইয়ের সঙ্গে অভিযুক্ত ছাত্রের বাকবিতণ্ডা হয়। সেখান থেকেই মূলত এই বিরোধের সূত্রপাত। অভিভাবকদের অভিযোগ, অভিযুক্ত ছাত্রের সহিংস আচরণের ইতিহাস রয়েছে এবং তা স্কুল কর্তৃপক্ষকে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল, কিন্তু তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বুধবারে জানা যায়, যখন আহত ছাত্র স্কুল চত্বরে পড়ে ছিল, তখন কোনও শিক্ষক বা কর্মী তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। শেষ পর্যন্ত অভিভাবকরাই একটি অটোরিকশা করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান।