আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের পর থেকেই চরম নির্যাতনের শিকার মহিলা পুলিশ কর্মী। কখনও পণের দাবিতে, কখনও বা ছেলে সন্তানের জন্য। শ্বশুরবাড়িতেই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ওই মহিলা পুলিশ কর্মী। ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ভাসুরের বিরুদ্ধে। এমনকী স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটে। পুলিশ জানিয়েছে, এক মহিলা পুলিশ কনস্টেবলকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তাঁর ভাসুরের বিরুদ্ধে। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি এখানেই শেষ নয়। তাঁকে জোর করে স্যানিটাইজার খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে।
পুলিশকে নির্যাতিতা আরও জানিয়েছেন, তিনি গর্ভবতী থাকাকালীন, তাঁকে নানা ধরনের ওষুধ খাওয়াতো শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। কারণ, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের ছেলে সন্তানের দাবি ছিল। গর্ভবতী অবস্থায় ২৭ বছর বয়সি তরুণীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। বেধড়ক মারধরের জেরে গর্ভে গুরুতর চোট পান তিনি। সদ্যোজাত সন্তানের মৃগী রোগ ধরা পড়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতা মহিলা পুলিশ কনস্টেবলের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, দুই ভাসুর ও তার স্ত্রীদের আটক করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালে মিরাটে দম্পতির মৃত্যু হয়। বিয়েতে ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করেছিল তরুণীর পরিবার। পাশাপাশি পণ হিসেবে গাড়ি, গয়না, নগদ টাকাও দিয়েছিল শ্বশুরবাড়িকে। কিন্তু তাদের আরও দামি গাড়ির দাবি ছিল।
তরুণী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীও পেশায় পুলিশ কনস্টেবল। দিন কয়েক আগে নিজের বৌদির সঙ্গে স্বামীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন তিনি। এরপরই তরুণীকে দু'জনে মিলে জোর করে স্যানিটাইজার খাইয়ে দেয়। মিরাটে হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁর পরিবার। শুধুমাত্র সন্তানের কারণেই দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করেছেন তিনি। এরপরেও ডিভোর্সের হুমকি দিত স্বামী।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে আরেকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। ছেলের আবারও মেয়ে হল! পরপর দুই কন্যাসন্তানের জন্মের পর মনে মনে ক্ষুব্ধ ছিল ঠাকুমা। বৃদ্ধা নাতির আশা করেছিল। আশা পূরণ না হওয়ায় চার মাসের নাতনিকেই খুন করল। সবার অলক্ষ্যে নাতনির শ্বাসরোধ করে খুনের কথা সে নিজেই স্বীকার করে নিয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের নর্মদাপুরম জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বারখেদি গ্রামেই এক বৃদ্ধা তার চার মাসে নাতনিকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। নাতনিকে তার পছন্দ ছিল না। কিন্তু তিনি চেয়েছিলেন সংসারে নাতি আসুক। সেই কারণেই নাতনিকে খুন করেন বৃদ্ধা।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, বৃদ্ধার নাম মীনাবাই আসওয়ারে। গত শুক্রবার বাড়ির পিছনে দোলনায় ঘুমিয়ে পড়েছিল চার মাসে শিশুকন্যা। ঘুমন্ত শিশুকন্যার মুখে তোয়ালে চেপে ধরে বৃদ্ধা শ্বাসরোধ করে খুন করে। সেই সময়েই শিশুকন্যার মা ঘরের ভিতরে কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
শিশুকন্যাকে খুনের পর ওই বৃদ্ধা একটি ব্যাগের মধ্যে দেহ ভরে, শুকনো কুয়োয় ফেলে দেয়। কিছুক্ষণ পরেই শিশুকন্যার নিখোঁজের খবরে গ্রামে শোরগোল পড়ে। তড়িঘড়ি পরে পরিবার ও গ্রামবাসীরা পুলিশে খবর দেন। শিশুকন্যাকে খোঁজাখুঁজির সময়েই তার ঠাকুরদা কুয়োর মধ্যে একটি ব্যাগ দেখতে পান। কিন্তু সেই সময় বৃদ্ধা তার স্বামীকে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। সে জানায়, ওই ব্যাগে মাসিকের নোংরা কাপড় রাখা আছে।
তিনদিন পর সেই কুয়ো থেকে ব্যাগটি উদ্ধার করে শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে মৃত শিশুকন্যার বাবা জানিয়েছেন, খুনের তিনদিন পর বৃদ্ধা খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে নিয়েছে। তিনিও কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পুলিশি জেরায় বৃদ্ধা খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। সে আরও জানায়, পরিবারে দ্বিতীয় কন্যাসন্তানের আগমনের পর সে খুশি ছিল না। মন থেকে নাতনিকেও মেনে নিতে পারেনি। সে চেয়েছিল, ছেলের দ্বিতীয় সন্তান ছেলে হোক।
