আজকাল ওয়েবডেস্ক: পায়ে শিকল, হাতে হাতকড়ি পরিয়ে মার্কিন মুলুক থেকে অভিবাসীদের ভারতে ফেরৎ পাঠানোর ভিডিও ভাইরাল। পুরো বিষয়টিকে 'অমানবিক' বলে সরব কংগ্রেস। এই ইস্যুতে উত্তাল হয় সংসদ। শেষপর্যন্ত বিরোধীদের প্রতিবাদের মুখে মুখ খুললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাজ্যসভায় তিনি বললেন, "আমেরিকা থেকে অভিবাসীদের প্রত্যর্পণ নতুন কিছু নয়। ২০০৯ থেকে হচ্ছে।" পাশাপাশি বিদেশমন্ত্রীর আশ্বাস, "ভারত মার্কিন সরকারের সঙ্গে অবৈধ বসবাসকারীদের ফেরত পাঠানো নিয়ে কথা বলবে। তাঁদের সঙ্গে যাতে খারাপ ব্যবহার না করা হয়, সেকথা নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনের কাছে তুলে ধরা হবে।"
এস জয়শঙ্করের বক্তব্য, "আইনি অভিবাসনে উৎসাহ দেওয়া আমাদের দুতরফেরই স্বার্থবাহী। কিন্তু, বেআইনিভাবে মানবপাচার কখনই যুক্তিযুক্ত নয়। সাধারণত বেআইনিভাবে ভিন দেশে বসবাসকারীদের ফেরৎ পাঠানো আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক নীতির মধ্যে পড়ে।|" এতই সঙ্গে বিদেশমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি যে, "আইনিভাবে বিদেশে মানবপাচারের সঙ্গে যুক্ত দালাল ও দালালির সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁরা ফিরে এসেছেন তাঁদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অভিযুক্ত দালালের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করা হবে।"
মার্কিন নিয়মের কথা তুলে ধরে এস জয়শঙ্কর বলেছেন, "হাতকড়া পরিয়ে তোলা আমেরিকার নিয়ম। কিন্তু মহিলা ও শিশুদের হাতকড়া পরানো হয়নি। বাকিদেরও শৌচাগারে যাওয়ার সময় হাতকড়া খুলে নেওয়াও হয়েছে।"
জয়শঙ্করের ভাষণের মাঝেই কংগ্রেসের এক সাংসদ জানতে ছান যে, "১০৪ জন অবৈধ ভারতীয়কে আমেরিকা ফেরত পাঠাল হাতকড়া, পায়ে শিকল বেঁধে। একথা সরকার কি জানত? ৪০ ঘণ্টার দীর্ঘ বিমানযাত্রায় মহিলা ও শিশু থাকা সত্ত্বেও মাত্র একটি শৌচাগার ছিল, এ বিষয়ে সরকারের বক্তব্য কী?"
জবাবে জয়শঙ্কর ২০০৯ সাল থেকে অবৈধ ভারতীয়দের আমেরিকার তরফে ফেরৎ পাঠানোর পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। জানান যে, ২০০৯ সালে ৭৩৪ জনকে আমেরকিকা অবৈধ অভিবাসী বলে ফেরৎ পাঠিয়েছিল। ২০২৪এ ১,৩৬৮ জন, ২০২৫ সালে সেই সংখ্যাটা এখনও পর্যন্ত ১০৪ জন।
