আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্পত্তির বিবাদের জেরে স্বামীকে পরিকল্পনা করে খুন করার অভিযোগ উঠল স্ত্রী এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচৈতন্য করে, তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় ওই ব্যক্তিকে। ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টাও করা হয়। এই ঘটনায় মঙ্গলবার অভিযুক্ত স্ত্রী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালে জীবনা গুলিয়ান গ্রাম থেকে সোনু (৩৫) নামে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। এর পরই তাঁর ভাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
বিনৌলি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাকেশ কুমার শর্মা জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, শাশুড়ির সঙ্গে সোনুর দীর্ঘ দিন ধরেই সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল। জেরার মুখে সোনুর স্ত্রী সনিয়া এবং তাঁর মা সরোজ স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করে নেন বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
পুলিশের কাছে সনিয়া জেরায় জানিয়েছেন, তাঁর মা সরোজ তাঁদের সঙ্গেই থাকতেন। কিছু দিন আগে তিনি ৩ লক্ষ টাকায় একটি জমি কিনেছিলেন, যার বর্তমান বাজারদর প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। খবর অনুযায়ী, সোনু ওই জমিটি নিজের নামে লিখে দেওয়ার জন্য শাশুড়ির উপর ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিলেন। সনিয়ার আরও দাবি, সোনু গোপনে তাঁর মায়ের স্নানের ভিডিও তুলে রেখেছিলেন। সেই ভিডিও দেখিয়েই তিনি ব্ল্যাকমেল করছিলেন। জমি লিখে না দিলে ভিডিওটি ফাঁস করে দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি।
এই ব্ল্যাকমেলে অতিষ্ঠ হয়েই মা-মেয়ে মিলে সোনুকে খুনের ছক কষেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, শনিবার সন্ধ্যায় দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সোনুকে খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। সোনু গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে দড়ি দিয়ে তাঁর গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়। এর পর ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য দেহটি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। প্রমাণ লোপাট করতে তাঁর মোবাইল ফোনটি ভেঙে খড় বোঝাই একটি ঘরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। এমনকী, পরে তাঁরা সোনুর শেষকৃত্যও সম্পন্ন করেন।
শার্মা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দুই মহিলাকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
